AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মন্দিরে নমাজের পালটা, মথুরার মসজিদে ‘হনুমান চালিসা’ পাঠ চার যুবকের!

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘মন্দির জিহাদ’ এর পাল্টা। এবার মসজিদে ঢুকে হনুমান চল্লিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করলেন চার যুবক। মথুরার (Mathura) এই ঘটনায় এখন দেশ জুড়ে তোলপাড়। চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের বারসানা রোডের মসজিদে চার যুবক হনুমান চল্লিশা পড়তে শুরু করেন। সঙ্গে জয় শ্রীরাম ধ্বনিও দেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিস […]

মন্দিরে নমাজের পালটা, মথুরার মসজিদে ‘হনুমান চালিসা’ পাঠ চার যুবকের!
মন্দিরে নমাজের পালটা, মথুরার মসজিদে ‘হনুমান চালিসা’ পাঠ চার যুবকের!
| Updated on: Nov 04, 2020 | 11:04 AM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘মন্দির জিহাদ’ এর পাল্টা। এবার মসজিদে ঢুকে হনুমান চল্লিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করলেন চার যুবক। মথুরার (Mathura) এই ঘটনায় এখন দেশ জুড়ে তোলপাড়। চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস।

মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের বারসানা রোডের মসজিদে চার যুবক হনুমান চল্লিশা পড়তে শুরু করেন। সঙ্গে জয় শ্রীরাম ধ্বনিও দেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিস হাজির হয়। সৌরভ, রাঘব মিত্তাল, কানহা ও কৃষ্ণ ঠাকুর নামে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁদের দাবি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই কাজ তাঁরা করেছেন। মথুরার এসপি গৌরভ গ্রোভার বলেছেন, “আইন কারোরই উর্ধ্বে নয়। যাঁরা আইন ভাঙবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রুরাল মথুরার সুপারিন্টেনডেন্ট শিরিসচন্দ্র বলেছেন, “গোটা ঘটনাটি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রেই জানতে পেরেছি। দেখেছি চার যুবক গোবর্ধন এলাকার একটি মসদিকে ঢুক হনুমান চল্লিশা পাঠ করেছে। তাদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাদের বক্তব্য এলাকা শান্তির বার্তা দিতে এই কাজ করেছে। কিন্তু তারা এটা করতে গিয়ে ভুল পথে হেঁটেছে, তাতে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হতে পারত। ধৃত চার জনের বিরুদ্ধে সিআরপিসি-র ১৫১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।”

পুলিস সূত্রে খবর, এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছিল। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। সমাজের একাংশের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছেছিল, ক্ষোভ বাড়ছিল।

উল্লেখ্য, ২৯ অক্টোবর মথুরার নন্দ বাবা মন্দিরে জোর করে ঢুকে তিন যুবক নমাজ পড়েছিল। সেই ঘটনায় ‘মন্দির জিহাদের’ অভিযোগ এনে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন নন্দ বাবা মন্দিরের পুরোহিত। ফয়জল খান নামে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। তখন থেকেই ‘মন্দির জিহাদ’ এর তত্ত্ব উঠে আসে। ‘লভ জিহাদ’ কিংবা ‘জমি জিহাদ’ নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ইস্যু প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এবার এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন।