Pune Rape Case: তীব্র যৌন লালসার শিকার! বাবা থেকে দাদা, নাবালিকার শরীর নিয়ে ‘ছিনিমিনি খেলা’ পরিবারের সদস্যদের
Pune Rape Case: অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা। ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের প্রতি ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুনে: মান আর হুঁশ নিয়ে মানুষ, এটা তো আমাদের সকলেরই জানা। তবে সাম্প্রতিক কালে বারবার বদলে গিয়েছে সেই সংজ্ঞাটা। মনুষ্য জাতির প্রতিনিধিরা এমনক কিছু কাণ্ড কারখানা ঘটিয়েছে, যা হিংস্রতায়, পাশবিকতায় বা বর্বরতাই বন্য পশুদেরও হার মানিয়েছে। বিশ্বায়নের ফলে দ্রুত সমাজের অগ্রগতি হচ্ছে ঠিকই, তবে মানুষের কুৎসিত ধ্যানধারণা কিছুতেই বদল হচ্ছে না। এমন কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যেই সামনে চলে আসে, যাতে মনুষ্য জাতির প্রতিনিধি হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। মহারাষ্ট্রের এমনই এক পাশবিক ঘটনার কথা সামনে এসেছে। ঘটনার বিবরণ জানার পর থেকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী সকলেই শিউরে উঠছেন। এক নাবালিকা কিশোরীকে বিভিন্ন সময়ে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে ওই কিশোরীকে কারা ধর্ষণ করল? পুলিশি তদন্ত ও বিবরণ থেকে যা উঠে এসেছে, তাতে লজ্জা, ঘৃণায় মাথা নত হয়ে যায়। ওই কিশোরী তাঁর নিজের বাবা, ভাই, দাদু থেকে শুরু করে দূর সম্পর্কের কাকু সকলে মিলে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি করেছেন বলেই আজ জানিয়েছে পুলিশ। বিগত ৫ বছর ধরে ওই কিশোরীর ওপর এই পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা। ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের প্রতি ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আধিকারিকরা জানিয়েছেনস এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ১১ বছর বয়সী ওই কিশোরীর ৪৫ বছর বয়সী বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই কিশোরীকে এখন পুনের থানায় রাখা হয়েছে। ওই কিশোরীর দাদু ও দূর সম্পর্কের কাকুর বিরুদ্ধে ৩৫৪ ধারায় হেনস্থা ও একমহিলার সম্মান হননের অপরাধমূলক চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
পুনে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা বিহারের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা সকলে পুনেতে থাকেন। “ওই কিশোরীকে স্কুলে যখন যৌন শিক্ষার পাঠ দেওয়া হয় তখন সে বিষয়টি বুঝতে পারে। তখনই তাঁর ওপর চলে আসা পাঁচ বছরের নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।” জানিয়েছেন থানার ইনস্পেক্টর অশ্বিনী সতপুটে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ওই তরুণীকে যৌন নিগ্রহ করতে শুরু করেন তাঁর বাবা। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সাল থেকে ওই কিশোরীর দাদা তাঁকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। তাঁর দাদু ও দূর সম্পর্কের কাকুরাও তাঁকে অশ্লীলভাবে ছুঁত। পুলিশ জানিয়েছে, এটা কোনও গণধর্ষণের ঘটনা নয়, আলাদাভাবেই ওই কিশোরীকে হেনস্থা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।