Amritpal Singh: রাতে গুরুদ্বারে এসে প্রার্থনা, নিজেই পুলিশে ফোন করে আত্মসমর্পণের কথা বলেন অমৃতপাল, স্ত্রীকে বাঁচাতেই চেষ্টা?
Amritpal Singh Surrender: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সারা রাত জেগে গোটা অভিযানের উপরে কড়া নজর রাখছিলেন। ভোর চারটে নাগাদ অমৃতপাল পাকাপাকিভাবে জানান যে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। পালানোর কোনও পথ যাতে না থাকে, তার জন্য় পুলিশ রাতেই গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে।
চণ্ডীগঢ়: স্ত্রী গ্রেফতার হতে পারে, এই আশঙ্কাই ছিল অমৃতপালের মনে। বিগত এক মাসের বেশি সময় ধরে পুলিশকে নাকানি-চোবানি খাওয়ানোর পর অবশেষে আজ, রবিবার পঞ্জাবের মোগায় একটি গুরুদ্বারে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন খালিস্তানি নেতা (Khalistani Leader) অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। কিন্তু আত্মসমর্পণের জন্য হঠাৎ গুরুদ্বারই (Gurudwara) কেন বেছে নিলেন অমৃতপাল? গ্রেফতারির মুহূর্ত অবধি গুরুদ্বারের ভিতরে ঠিক কী কী ঘটছিল, তা জানালেন ওই গুরুদ্বারের এক কর্মী।
রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ পঞ্জাবের মোগা (Moga) জেলার রোদেওয়াল গুরুদ্বারে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং। তবে সকালে নয়, শনিবার রাতেই গুরুদ্বারে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অমৃতপাল। রোদেওয়াল গুরুদ্বারের কর্মী সিং সাহিব জিয়ানি জসবীর সিং রোদে বলেন, “শনিবার রাতে অমৃতপাল সিং রোদেওয়াল গুরুদ্বারে আসেন নিজেই পুলিশকে ফোন করে গুরুদ্বারে আশ্রয় নেওয়ার কথা জানান এবং রবিবার সকাল ৭টায় আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানান।”
তিনি বলেন, “রাতে অমৃতপাল সিং আসেন। এসে হাত-পা ধুয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন। লঙ্গরে খাবার খান। এরপরে নিজেই পুলিশকে ফোন করে আত্মসমর্পণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পুলিশ কোনও অভিযান চালায়নি, অমৃতপাল নিজেই আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানান।”
অন্য়দিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , চলতি সপ্তাহে অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে অমৃতপাল সিংয়ের স্ত্রী কিরণদীপ কৌরকে আটক করার পর থেকেই চাপে ছিলেন। অমৃতপালের স্ত্রী ব্রিটিশ নাগরিক, আগামী জুলাই মাসেই তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। অমৃতপাল নিজে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারলেও, তিনি চেয়েছিলেন স্ত্রী যেন নিরাপদভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। কিন্তু পুলিশের হাতে স্ত্রী আটক হতেই অমৃতপাল আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গিয়েছে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সারা রাত জেগে গোটা অভিযানের উপরে কড়া নজর রাখছিলেন। ভোর চারটে নাগাদ অমৃতপাল পাকাপাকিভাবে জানান যে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। পালানোর কোনও পথ যাতে না থাকে, তার জন্য় পুলিশ রাতেই গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে। অমৃতপালের শর্ত মেনেই শুধুমাত্র দুই থেকে তিনজন পুলিশ গুরুদ্বারে যান অমৃতপালকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার জন্য।