‘পাপড়ি চাটে অ্যালার্জি থাকলে মাছের ঝোল খান’, ডেরেককে কটাক্ষ নকভির

সংসদের অধিবেশনে একাধিক বিল পাশ করেছে মোদী সরকার। আর তা নিয়ে ডেরেক ও ব্রায়েন একটি টুইটে লিখেছিলেন, 'বিল পাশ হচ্ছে নাকি পাপড়ি চাট বানানো হচ্ছে?'

'পাপড়ি চাটে অ্যালার্জি থাকলে মাছের ঝোল খান', ডেরেককে কটাক্ষ নকভির
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 11:59 AM

নয়া দিল্লি: ‘বিল পাশ হচ্ছে নাকি পাপড়ি চাট তৈরি হচ্ছে?’ এই ভাষাতেই মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে গতকালই ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার সেই টুইটের রেশ ধরেই তৃণমূল সাংসদকে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি। রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ নকভি বলেন, ‘পাপড়ি চাটে যদি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে মাছের ঝোল খান।’ একই সঙ্গে সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে।

বুধবার তৃণমূল সাংসদের টুইট প্রসঙ্গে নকভি বলেন, ‘যদি পাপড়ি চাটে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে মাছের ঝোল খান। কিন্তু সংসদকে মাছের বাজারে পরিণত করবেন না। যে ভাবে ষড়যন্ত্র করে সংসদদের অমর্যাদা করা হয়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি।’ গত সোমবারই টুইটে ডেরেক লিখেছিলেন, ‘প্রতি সাত মিনিটে একটি করে বিল পাশ করা হয়েছে। এটা কি বিল পাশ নাকি পাপড়ি চাট বানানো?’ টুইটে ডেরেক হিসেব দিয়ে দেখিয়েছিলেন অধিবেশনের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে ১২টি বিল পাশ করানো হয়েছে। গড়ে ৭ মিনিটে একেকটি বিল পাশ করানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এ বার শুরু থেকেই উত্তাল বাদল অধিবেশন। বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। লোকসভা বা রাজ্যসভা বারবার মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের সেই বিক্ষোভ নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকালই বিজেপির একটি বৈঠকে সেই প্রসঙ্গে তুলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মোদী। ডেরেকের টুইটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছিলেন, ‘বিল পাস করানো নিয়ে একজন বর্ষীয়ান সাংসদ অপমানজনক মন্তব্য করেছেন।’ তৃণমূলের এই সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও। তিনি বলেন, ‘আমরা সব বিল নিয়ে আলোচনা করতে রাজি, আমাদের কোনও তাড়া নেই। তৃণমূলের একজন সাংস এ ভাবে সংসদকে অপমান করেছেন, ওনার উচিৎ গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

শুধু ডেরেক নয়, তৃণমূলের আর এক সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন নরেন্দ্র মোদী। পেগাসাস নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর হাত থেকে বিবৃতির কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, ‘যিনি কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেললেন, তাঁর কোনও অনুতাপ নেই। এটা সংদের অপমান, সংবিধানের অপমান, গণতন্ত্রের অপমান, মানুষের অপমান।’ আরও পড়ুন: চেকবুক, এটিএম কার্ড গ্রাহকের কাছেই অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে উধাও লক্ষ লক্ষ টাকা!