Birth Certificate: কীভাবে পাওয়া যায় বার্থ সার্টিফিকেট? কীভাবে আবেদন করবেন, কী কী নথি লাগবে?
how to apply for birth certificate: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার নিবন্ধন, আধার তালিকাভুক্তি, বিবাহ নিবন্ধন, সরকারি চাকরির আবেদন-সহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিচয়সূচক একক নথি হিসেবে 'বার্থ সার্টিফিকেট' বা জন্মের শংসাপত্র লাগবে। ভারতের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের আওতায়, সমস্ত নাগরিকের জন্মের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কীভাবে পাওয়া যায় বার্থ সার্টিফিকেট?

নয়া দিল্লি: ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধনী) আইন, ২০২৩। এই আইনের ফলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার নিবন্ধন, আধার তালিকাভুক্তি, বিবাহ নিবন্ধন, সরকারি চাকরির আবেদন-সহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিচয়সূচক একক নথি হিসেবে ‘বার্থ সার্টিফিকেট’ বা জন্মের শংসাপত্র লাগবে। ভারতের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের আওতায়, সমস্ত নাগরিকের জন্মের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কীভাবে পাওয়া যায় বার্থ সার্টিফিকেট? এর জন্য কীভাবে আবেদন করতে হয়? কী কী নথিপত্রের প্রয়োজন? আসুন জেনে নেওয়া যাক সব কিছু –
কীভাবে পাবেন বার্থ সার্টিফিকেট?
কারা দেয়: স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ, শহরাঞ্চলে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং গ্রামাঞ্চলে মহকুমা শাসকের কার্যালয় বা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়
রেজিস্ট্রেশন ফর্ম: যে হাসপাতালে শিশুর জন্ম হয়, সেই হাসপাতাল থেকেই বার্থ সার্টিফিকেটের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাওয়া যায়। না-হলে সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, crsorgi.gov.in থেকেও এই রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ডাউনলোড যায়।
ফর্ম পূরণ: সন্তানের জন্মের ২১ দিনের মধ্যে ফর্মটি পূরণ করুন। জন্মের তারিখ, সময়, জন্মস্থান, পিতামাতার পরিচয়ের প্রমাণ এবং নার্সিং হোম বা হাসপাতালের বিবরণ দিতে হবে।
যাচাইকরণ ও জারি: ফর্মটি জমা দেওয়ার পর রেজিস্ট্রার রেকর্ডগুলি যাচাই করে। এরপর, বার্থ সার্চিফিকেট জারি করতে সাত দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
কী কী নথি প্রয়োজন?
রাজ্য ভেদে জন্মের শংসাপত্রের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথির তালিকা সামান্য এদিক-ওদিক হয়। তবে সাধারণত শিশুর জন্ম হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে হলে, সংশ্লিষ্ট মেডিকেল অফিসারের জারি করা জন্মপত্রের প্রামাণ্য নথি লাগবে। শিশুর জন্ম হাসপাতালে না হলে, গ্রাম পঞ্চায়েত, স্থানীয় কাউন্সিলর বা কোনও এমবিবিএস ডাক্তারের কাছ থেকে শিশুর নাম, পিতার নাম, আবাসিক ঠিকানা, জন্ম তারিখ তাঁর সীলমোহর এবং স্বাক্ষর-সহ লিখিয়ে নিয়ে পেশ করা যেতে পারে। এছাড়া, বাবা-মা দুজনেরই বার্থ সার্টিফিকেটের কপি লাগবে। তারা বিবাহিত হলে, তাদের বিবাহের শংসাপত্রের কপি লাগবে। আধার কার্ড, ভোটার আইডি, বা অন্য কোনো সরকারি সচিত্র পরিচয়পত্র লাগবে। আবাসিক ঠিকানার প্রামাণ্য নথিও লাগতে পারে। ফর্মে দেওয়া তথ্যাদির যথার্থতা নিশ্চিত করতে একটি হলফনামাও দিতে হতে পারে।
দেরিতে নিবন্ধন
শিশুর জন্মে ২১ দিনের মধ্যে জন্মের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন না করা হলে, দেরির জন্য মূল্য দিতে হতে পারে। তবে নিবন্ধন করা যাবে। এক বছরের বেশি দেরি হলেও জন্মের নিবন্ধন করা যাবে। তবে,সেই ক্ষেত্রে একজন জেলাশাসক স্তরের সরকারি আধিকারিককে দিয়ে জন্ম তারিখ যাচাই করিয়ে নিতে হবে।
