Plane Crash: ‘২ মিনিটের জন্য পাথর হয়ে গিয়েছিলাম’, এখনও আতঙ্কে মেডিক্যাল পড়ুয়া
Plane Crash: গতকাল বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সেইসময় ওই মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের পড়ুয়ারা খাবার খাচ্ছিলেন। কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

আহমেদাবাদ: পড়ে রয়েছে খাবার থালা। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে এয়ার ইন্ডিয়ার ভেঙে পড়ার ছবি দেখে আঁতকে উঠছেন অনেকে। কিন্তু, সেইসময় যেসব মেডিক্যাল পড়ুয়া সেখানে ছিলেন, তাঁরা কী বলছেন? দুর্ঘটনার হাত থেকে বরাতজোরে যাঁরা রক্ষা পেয়েছেন, তাঁদেরই একজন দ্রিজেশ মোর। বিজে মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। এখনও যেন তাঁর চোখের সামনে ভাসছে গতকালের ঘটনা। আর সেই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে এখনও তাঁর চোখেমুখে আতঙ্ক ধরা পড়ল।
গতকাল বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সেইসময় ওই মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের পড়ুয়ারা খাবার খাচ্ছিলেন। কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সেইসময়ের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি তখন সবে মধ্যাহ্নভোজ শেষ করেছি। হাত ধুতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজ। প্রথমে ভেবেছিলাম ভূমিকম্প। একমুহূর্ত পরই মনে ভয় হল এটা বিমানহানা নয় তো।”
এরপরই তিনি বলেন, “জানালা ভেঙে যায়। ধুলোয় ভরে যায় বাতাস। আমি কোনওকিছুই স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম না। ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারছিলাম না। ২ মিনিট আমি পাথরের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। বেঁচে রয়েছি না মারা গিয়েছি, সেটাই বুঝতে পারছিলাম না।” দ্রিজেশের বাড়ি গুজরাটের পালানপুরে। ওইদিন রাতে বাড়ি ফিরে যান তিনি।
হস্টেলের এক কর্মী বলেন, “সেইসময় আমরা রুটি তৈরি করছিলাম। কী হল, কিছুই বুঝতে পারিনি। চারদিক ধোঁয়ায় ভরে যায়। ঘটনাস্থলেই চার পড়ুয়া মারা যান। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।” ওই মেডিক্যাল কলেজের রেসিডেন্ট চিকিৎসক সাগর পানজওয়ানি বলেন, “দুর্ঘটনার সময় হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলাম। আমার রুম পুরো পুড়ে গিয়েছে।”

