‘ম্যা শের কা বেটা’, বাবার জন্মদিনে ফের হুঙ্কার চিরাগের

পটনা: কাকা পশুপতি পরস ৫ সাংসদকে নিজের কাছে টেনেছেন। বাবা রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিতে (LJP) একা সাংসদ হিসেবে রয়েছেন চিরাগই। খোদ কাকার বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটার ঘোষণা আগেই করেছেন তিনি। এ বার ফের বাবার জন্মদিনে হুঙ্কার ছেড়ে বললেন, “ম্যা শের কা বেটা। বাবা কোনওদিন ভয় পাননি, আমিও কোনওদিন ভয় পাব না।”

বাবা রামবিলাস পাসোয়ানের লেখা এই বই প্রকাশ করে জন্মদিনে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন ছেলে চিরাগ। তিনি বলেন, “যতই আমাদের ভাঙার চেষ্টা হোক না কেন, যেভাবে বাবা সত্যের পথে ভয় না পেয়ে হেঁটেছেন, সেভাবে আমরাও লড়ব এবং জিতব।” দলিত ভোট তাঁর সঙ্গেই। বারবার এ কথা বোঝাতে জনসমর্থন প্রদর্শন করছেন চিরাগ।

এ দিনও বিপুল সংখ্যক সমর্থককে পাশে নিয়ে বাবার লেখা বই প্রকাশ করেন তিনি। যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজেকে ‘শের কা বেটা’ বললেন চিরাগ, তখন পিছন থেকে স্লোগান উঠল, “রামবিলাস পাসোয়ান জিন্দাবাদ।” সমর্থন প্রদর্শন করতে এর আগে ন্যাশনাল এগজ়িকিউটিভ মিটিংও ডেকেছিলেন চিরাগ। তাঁর দাবি সেখানে ৯০ শতাংশ ন্যাশনাল এগজ়িকিউটিভ উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, পশুপতির নেতৃত্বে এলজেপিতে ভাঙন ধরানোয় মদত রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। পশুপতি পরসের মন্তব্যও সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। স্বভাবতই চিরাগ বারবার নিশানা করছেন নীতীশকে।

বিহারের মুখ্য়মন্ত্রীকে ‘অ্যান্টি দলিত’ মুখ্যমন্ত্রী বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। এনডিএ জোটে বিজেপির সঙ্গে শরিক এলজেপি ও নীতীশের দল জেডিইউ। ক্রমাগত নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করলে চিরাগের ক্ষেত্রে বিজেপি স্ট্যান্ড নেওয়ার আগেই এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ভুলে গেলে হবে না ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর আমরা বিজেপির হাত ধরেছিলাম। নীতীশ যখন জোট ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তখন পাসোয়ান ভোটাররাই ভোট দিয়েছিল।” হুঁশিয়ারির পাশাপাশি নরম সুরেও বিজেপিকে বার্তা দিচ্ছেন চিরাগ। এনডিএ জোটে থাকার বিষয়ে তিনি বলেছেন, “হনুমান সুখে-দুঃখে রামের সঙ্গেই ছিল। এখন রামকে দেখতে হবে হনুমান কোথায়।”

বিশেষজ্ঞদের মতে বাবার জন্মদিনে ফের আরও একবার চিরাগ বোঝালেন মাঠ ছেড়ে যাওয়ার লোক নন তিনি। অন্যদিকে রামবিলাস পাসোয়ানের জন্মদিনে টুইট করে নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, “আজ আমার বন্ধু রাম বিলাস পাসোয়ানজির জন্মদিন। আমি ওনার উপস্থিতিকে খুব মিস করি। তিনি দেশের অন্যতম দক্ষ প্রশাসক ও সাংসদ ছিলেন। জনসেবা ও পিছিয়ে পড়ার শ্রেণির জন্য কাজে ওনার অবদান সবসময় মনে রাখা হবে।” রামবিলাস পাসোয়ানের জন্মদিন পালন করার কথা আগেই জানিয়েছিল তেজস্বী ব্রিগেডও। সব মিলিয়ে এখন কার্যত ‘ট্রানজিশনে’ পটনা পলিটিকস।

আরও পড়ুন: সারা বিশ্বকে বিনামূল্যে কো-উইনের কোড দেবে ভারত