Monsoon Forecast: বর্ষার আগাম প্রবেশের পথে ‘কাঁটা’, কবে থেকে শুরু হবে বৃষ্টির দাপট, জানাল হাওয়া অফিস
Monsoon Forecast: স্কাইমেটের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহেশ পালাওয়াত জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কিছুটা শক্তি হারিয়েছে, যার জেরে এর গতিও ধীর হয়ে গিয়েছে। মরশুমি বায়ু শক্তিশালী না হওয়া অবধি কেরলে বর্ষার আগমন নিয়ে সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।
নয়া দিল্লি: পূর্বাভাস ছিল সময়ের আগেই এ বার প্রবেশ করবে বর্ষা(Monsoon)। কিন্তু সেই আশায় জল ঢালছে দক্ষিণ-পশ্চিমী হাওয়া। সমুদ্রেই কিছুটা গতি হারানোর কারণে আগামী ২৭ মে কেরলে (Kerala) নাও প্রবেশ করতে পারে বর্ষা, এমনই জানানো হল আবহাওয়া দফতর সূত্রে। মৌসম ভবনের তরফে এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা না করা হলেও, নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ জুনের গোড়াতেই কেরলে প্রবেশ করতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিমী মৌসুমী বায়ু, যার হাত ধরেই দেশে বর্ষা প্রবেশ করবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বর্ষা কিছুটা এগোলেও, দক্ষিণ-পশ্চিমী বায়ু দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং মেঘলা আকাশের জেরে বর্ষার প্রবেশে কিছুদিন দেরি হতে পারে। আইএমডির ডিরেক্টর জেনারেল এম মহাপাত্র বলেন, “আমরা এখনও বর্ষার আগমন নিয়ে নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দিইনি। আগামী ২৭ মে বর্ষা কেরলে প্রবেশের কথা থাকলেও তা ৪ দিন আগে বা পরে প্রবেশ করতে পারে।”
অন্যদিকে স্কাইমেটের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহেশ পালাওয়াত জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কিছুটা শক্তি হারিয়েছে, যার জেরে এর গতিও ধীর হয়ে গিয়েছে। মরশুমি বায়ু শক্তিশালী না হওয়া অবধি কেরলে বর্ষার আগমন নিয়ে সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আনুমানিক ১ জুনই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে।
তিনি আরও জানান যে, গত ২০ মে থেকেই বর্ষার আগমনের গতি ধীর হয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা আগে পৌঁছলেও, বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ অনেকটাই ধীর হয়ে গিয়েছে। এর কারণে এখনও শ্রীলঙ্কাতে বর্ষা প্রবেশ করেনি। বর্তমানে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তা গ্রীষ্মণ্ডলীয় বায়ুর জেরেই হচ্ছে।
বর্তমানে আবহাওয়ার যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে কেরলজুড়ে বর্ষা শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে জুনের শুরুতেই বর্ষা প্রবেশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে, এরপর তা ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে কর্নাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চলে পৌঁছবে। পূর্ব ভারতে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বর্ষা পৌঁছবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।