Pakistan: হঠাৎ ‘লটারি’ লেগে গেল পাকিস্তানের, যুদ্ধের সময় হাতে পাচ্ছে ১০০ কোটি ডলার! ভোট দিল না ভারত
Pakistan: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোটা বিশ্ব থেকেই। সন্ত্রাসে মদত এবং অর্থ সাহায্যের অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়েছে ভারতও। আইএমএফ যাতে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয় সে কথাও বলে ভারত।

নয়া দিল্লি: হাত পেতেছিল পাকিস্তান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত তাতে সায় দিল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। পাকিস্তানের ভাঁড়ারে আসছে ১০০ কোটি ডলার। আইএমএফ-র বোর্ডে ভোটাভুটিতে বিরত থাকল ভারত। প্রসঙ্গত, লোনের দাবিতে আগেই আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে লোন দেওয়া আদৌও যুক্তিসঙ্গত হবে কিনা তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোটা বিশ্ব থেকেই। সন্ত্রাসে মদত এবং অর্থ সাহায্যের অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়েছে ভারতও। আইএমএফ যাতে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয় সে কথাও বলে ভারত।
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি আগেই বলেছিলেন, ‘‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে IMF বোর্ডের উচিত বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করা৷’’ এদিনের ঘটনাক্রম নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছে ডিডি নিউজ। সেখানে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের ‘লোন অ্যাপ্রুভাল’ নিয়ে ভোটাভুটি হয় IMF-র সংশ্লিষ্ট বোর্ডে। কিন্তু, ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে ভারত। একইসঙ্গে ভোট প্রক্রিয়া নিয়েও লেখা হয়েছে কিছু কথা। তাতেই বলা হচ্ছে এই ভোটাভুটির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের পক্ষে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়ার অপশন থাকলেও ‘না’ বলার জায়গা থাকে না। কিন্তু কোনও দেশ চাইলে ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকতে পারে। শেষ পর্যন্ত ভারত সেই রাস্তাই বেছেছে।
কীভাবে হয় ভোট?
আইএমএফের এই বোর্ড মূলত ২৫ জন ডাইরেক্টর নিয়ে গঠিত। তাঁরাই এক একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। কোনও দেশ ঋণ চাইলে, সবদিক খতিয়ে দেখে দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি ঠিক করেন তাঁরাই। এদিকে বিগত কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা তথৈবচ। সে দেশের অর্থের মূল্যের লাগাতার পতন, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানির অভাবে জর্জরিত আম-আদমি। এমতাবস্থায় বড় অঙ্কের লোন ছাড়া যে কোনও গতি নেই তা ভালই বুঝেছিলেন সে দেশের কর্তারা। অন্যদিকে আইএমএফের লোন পেতে গেলে বেশ কিছু শর্তও মানতে হয়। তার ভিত্তিতেই নেওয়া হয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।





