Kailash Mansarovar Yatra: খুলে গেল দ্বার, বাধা হবে না চিন! নতুন বছরে শুরু হচ্ছে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা
Kailash Mansarovar Yatra: উল্লেখ্য, ২০২০ সালে থেকে বন্ধ রয়েছে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা। করোনার উপদ্রবকে কারণ দেখিয়ে বন্ধ করা হলেও আসল সত্যিটা অন্য বলেই দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। ভারত-চিনের মধ্যে সীমানা নিয়ে বাড়তে থাকা দূরত্বই প্রভাব ফেলেছিল এই পুণ্যযাত্রায়, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
বেজিং: ‘হিন্দি চিনি ভাই ভাই’, এই ছিল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুর চিনের প্রতি বিদেশনীতি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই নীতির ফল হাড়ে হাড়ে টের পেতে হয়েছিল তাঁকে। তারপর তো বছরের পর বছর ধরে চলা একটা টানাপোড়েন। কখনও বন্ধুত্ব বেড়েছে, কখনও আবার চিনের মিছরির ছুরি সহ্য করতে হয়েছে ভারতকে। পাল্টা অবশ্য এ দেশও কোনও দিনই চুপ থাকেনি।
কিন্তু এখন সে সব অতীত। নতুন বছরে সম্পর্কের নতুন সমীকরণ তৈরি করতে চায় ভারত-চিন। এদিন দু’দিনের সফরে বেজিংয়ে পৌঁছে গিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী। সেদেশের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে সেরে ফেলেছেন এক দফা বৈঠক। আর তারপরেই গত বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকা কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। তার জন্য দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমানযাত্রার বিষয়েও কথা হয়েছে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে থেকে বন্ধ রয়েছে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা। করোনার উপদ্রবকে কারণ দেখিয়ে বন্ধ করা হলেও আসল সত্যিটা অন্য বলেই দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। ভারত-চিনের মধ্যে সীমানা নিয়ে বাড়তে থাকা দূরত্বই প্রভাব ফেলেছিল এই পুণ্যযাত্রায়, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রত্যেক বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে ভারত থেকে তিব্বতের মানস সরোবরে যাত্রা করতেন বহু পুণ্যার্থী। খুব সহজেই কিন্তু এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করা যায় না। কারণ গোটাটাই হয় ভারত ও চিন সরকারের তত্ত্বাবধানে। সেক্ষেত্রে একাধিক তথ্য যাচাইয়ের পর মেলে যাত্রায় অংশগ্রহণের অনুমোদন। মূলত ভারতের নাথুলা ও লিপুলেখ পাস হয়ে তিব্বতে প্রবেশ করতে হত পুণ্যার্থীদের। এরপর থেকে কৈলাস পর্যন্ত গোটা পথের সঙ্গী চিনা প্রশাসন।