AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Reciprocal Tariffs: শূন্য ট্যারিফ! আমেরিকাকে বড় প্রস্তাব মোদী সরকারের

Reciprocal Tariffs: ট্রাম্পের দেওয়া ৯০ দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে কয়েকটি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে দুই দেশ। এই পরিস্থিতিতে গত মাসের শেষদিকে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন ভারতের বাণিজ্য আধিকারিকরা।

Reciprocal Tariffs: শূন্য ট্যারিফ! আমেরিকাকে বড় প্রস্তাব মোদী সরকারের
নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প (ফাইল চিত্র)Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: May 06, 2025 | 3:37 PM

নয়াদিল্লি: আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই নতুন প্রস্তাব ভারতের। পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া অবস্থানের মধ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে পারস্পরিক শুল্ক শূন্য করার প্রস্তাব নয়াদিল্লির। জানা গিয়েছে, স্টিল, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং ফার্মাসিউটিক্যালের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত আমদানির ক্ষেত্রে পারস্পরিক ট্যারিফ শূন্য করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে কূটনৈতিক মহল মনে করেছে।

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারির আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয়বার শপথ নেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে পা দিয়েই পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে বড় ঘোষণা তিনি করেন। ভারতের উপর ২৬ শতাংশ পারস্পরিক শুল্কের কথা ঘোষণা করেন। আপাতত নিজের সেই সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন স্বয়ং ট্রাম্প। সেই ৯০ দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে একাধিক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে চাইছে আমেরিকা। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও অনেকটাই এগিয়েছে। সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

ট্রাম্পের দেওয়া ৯০ দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে কয়েকটি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে দুই দেশ। এই পরিস্থিতিতে গত মাসের শেষদিকে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন ভারতের বাণিজ্য আধিকারিকরা। সেখানেই স্টিল, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও ওষুধপত্রে একটি নির্দিষ্টি সীমা পর্যন্ত আমদানিতে পারস্পরিক শুল্ক শূন্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ওই সীমার বেশি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক নির্দিষ্ট হারে নেওয়া হবে। এই নিয়ে আমেরিকার বক্তব্য এখনও জানা যায়নি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন মোদী। হোয়াইট হাউসে কয়েক ঘণ্টা ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, দর কষাকষিতে তাঁর থেকেও দক্ষ মোদী। ভারত সফরে এসে ট্রাম্পের ডেপুটি ভান্সও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী দর কষাকষিতে দক্ষ। নিজের দেশকে আগে রাখেন। সেজন্যই তাঁকে সম্মান করে আমেরিকা। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তৎপরতা স্পষ্ট। এখন কবে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়, সেটাই দেখার।