India-Pakistan DGMO Meeting: পাকিস্তান ঠান্ডা হবে নাকি পুরোদমে অ্যাকশনে নামবে সেনা? সংঘর্ষ বিরতির পর প্রথম বৈঠক আজ
India-Pakistan DGMO Meeting: জানা গিয়েছে, আজ দুপুর ১২টা নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা। ভারতীয় সেনার ডিজিএমও রাজীব ঘাই থাকবেন বৈঠকে।

নয়া দিল্লি: পাকিস্তানকে নিয়ে কী নীতি নেবে ভারত? সপ্তাহের প্রথম দিনেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সংঘর্ষ বিরতির পর আজ, সোমবারই প্রথম বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের সেনার ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস বা ডিজিএমও স্তরে বৈঠক হবে। কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে? সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে নাকি পুরোদমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অ্য়াকশনে নামবে ভারত?
সংঘর্ষ বিরতির পরও শনিবার গোলাগুলি চালিয়েছিল। রবিবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তবে এখনও সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে সেনা। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষদেরও। এরই মধ্যে আজ দুই দেশের বৈঠক।
জানা গিয়েছে, আজ দুপুর ১২টা নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা। ভারতীয় সেনার ডিজিএমও রাজীব ঘাই থাকবেন বৈঠকে। পাকিস্তানের তরফে আলোচনায় বসবেন ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাসিফ আবদুল্লা। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছিল, কোনও একটি নিরপেক্ষ (Neutral) জায়গায় বৈঠকে বসবেন দুই দেশের ডিজিএমও। আপাতত স্থির হয়েছে, বৈঠক হবে হটলাইনে।
ভারত সরকার এই বৈঠকের বিষয়ে বিশেষ কোনও তথ্য জানায়নি, তবে পাকিস্তান সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে যে ভারতের সঙ্গে কথা বলবে, তার আভাস দিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ নিজেই।
রবিবারই খোয়াজা আসিফ জানান, পাকিস্তান সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে কথা বলবে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ দমন ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও কথা হতে পারে। অন্যদিকে, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত গতকালই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। সাফ জানিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরাতে হবে।
রবিবারই ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠক সাফ জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের কোনও ধরনের আগ্রাসী মনোভাব বা আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। অপারেশন সিঁদুরে কেবল জঙ্গিঘাঁটিই ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করা হয়নি। পাকিস্তান ঠিক উল্টোটাই করেছে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে পঞ্জাব, রাজস্থান- সাধারণ মানুষের বাড়ির উপরে ড্রোন হামলা করার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান, যা প্রতিহত করেছে ভারত। পাকিস্তানের আক্রমণের কেবল প্রত্যাঘাত করেছে ভারত।
কেন্দ্রীয় সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। এরপর আর একটাও সন্ত্রাসবাদী হামলাকে ভারত যুদ্ধের আবাহন বলেই গণ্য করবে- একথা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার আজকের বৈঠকে কী হয়, তাই দেখার।
প্রতিবেদনটি TV9 বাংলার রিপোর্টার প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে লেখা।

