AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

India-China Relation: ‘বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ করা অভ্যাস, ভারতেরই থাকবে অরুণাচল’, চিনের নয়া মানচিত্রের তীব্র বিরোধিতা ভারতের

China's New Map Controversy: মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকর মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এই বিষয়ে বলেন, "চিনের তরফে ২০২৩ সালের মানচিত্রে ভারতের জমিকে নিজেদের বলে যে দাবি করা হয়েছে, কূটনৈতিক মাধ্য়মে তার তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা। এই ধরনের ভিত্তিহীন দাবিকে আমরা সম্পূর্ণ খারিজ করছি।"

India-China Relation: 'বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ করা অভ্যাস, ভারতেরই থাকবে অরুণাচল', চিনের নয়া মানচিত্রের তীব্র বিরোধিতা ভারতের
চিনের মানচিত্র নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের।Image Credit: TV9 বাংলা
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2023 | 6:43 AM
Share

নয়া দিল্লি:  অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ও আকসাই চিন(Aksai Chin)-কে নিজের দেশের অংশ বলে দাবি চিনের (China)। সম্প্রতিই বেজিংয়ের প্রকাশিত একটি মানচিত্রেই দেখা যায়, চিনের সীমানার অন্তর্গত করা হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে। এরপর থেকেই বিতর্ক শুরু। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) তরফে কড়া ভাষায় চিনের এই পদক্ষেপের নিন্দা করা হয়। সাফ জানানো হয়, চিনের এই ধরনের কার্যকলাপ সীমান্ত সমস্যাকে আরও জটিল করবে।

সোমবার চিনের তরফে নতুন একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়। সেই মানচিত্রে দেখা যায়, ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, আকসাই চিন অঞ্চলকে নিজের দেশের অংশ বলে দাবি করছে চিন। অন্যদিকে, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরকেও নিজেদের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। এই মানচিত্র সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়।

মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকর মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এই বিষয়ে বলেন, “চিনের তরফে ২০২৩ সালের মানচিত্রে ভারতের জমিকে নিজেদের বলে যে দাবি করা হয়েছে, কূটনৈতিক মাধ্য়মে তার তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা। এই ধরনের ভিত্তিহীন দাবিকে আমরা সম্পূর্ণ খারিজ করছি। চিনের এই ধরনের পদক্ষেপ সীমান্ত সমস্যাকে আরও জটিল করবে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও চিনের সমালোচনা করে বলেন, “বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ করা চিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের ভূখণ্ডকেও নিজের বলে দাবি করে।”

প্রসঙ্গত, সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে বিরোধ বহু পুরনো। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। জুন মাসে লাদাখের গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। এরপর থেকে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে দফায় দফায় সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সম্প্রতিই ব্রিকসের মঞ্চেও মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ক্ষণিকের সাক্ষাতেও সীমান্ত সমস্যা নিয়েই আলোচনা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এই পরিস্থিতির মাঝেই চিনের নয়া মানচিত্র প্রকাশ ও তাতে ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজের বলে দাবি করা অশান্তিতে উস্কানি দেওয়া বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।