Jaishankar to US: মার্কিন চাপের কাছে মাথা নোয়াবে না ভারত, রাশিয়ার থেকে তেল কেনা প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিদেশমন্ত্রী
India-US Relation: তবে এদিনের বৈঠকে আরও একবার ভারতকে রাশিয়ার থেকে তেল না কেনার আর্জি জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, "আমরা অবশ্যই বিভিন্ন দেশগুলিকে রাশিয়ার থেকে অতিরিক্ত তেল বা শক্তির উৎস না কেনার ব্যাপারে উৎসাহিত করব।
নয়া দিল্লি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) ফলে গোটা বিশ্বেই জ্বালানির দাম (Fuel Price) উর্ধ্বমুখী। ব্যারেল প্রতি ক্রুড ওয়েলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের দাম (Petrol-Diesel Price) ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ভারতের অবস্থাও গোটা বিশ্বের থেকে আলাদা নয়, প্রতিদিনই দেশে জ্বালানির দাম বাড়ছে। মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, কম দামে নয়া দিল্লিকে জ্বালানি দিতে প্রস্তুত। দীর্ঘদিনের বন্ধুর থেকে এই প্রস্তাব পেয়ে খুশি মনেই তা গ্রহণ করেছিল নয়া দিল্লি। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থানে অখুশি হয়েছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকের তরফে ভারতের এই অবস্থানকে সমর্থন না করে বলা হয়েছিল, রাশিয়ার প্রয়োজন নেই, আমেরিকা ভারতের পরম বন্ধু হয়ে জ্বালানি জোগান দিতে রাজি। স্বাভাবিকভাবেই ১২ এপ্রিল, মঙ্গলবার ওয়াশিংটন স্টেট ডিপার্টমেন্টে ভারত-আমেরিকার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আরও একবার এই প্রসঙ্গই উঠে এসেছে। বৈঠকে ভারতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken) এই বৈঠককে বিশ্বের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে ‘আরও ফলপ্রসূ এবং গুরুত্বপূর্ণ’ আখ্যা দিয়েছেন।
তবে এদিনের বৈঠকে আরও একবার ভারতকে রাশিয়ার থেকে তেল না কেনার আর্জি জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, “আমরা অবশ্যই বিভিন্ন দেশগুলিকে রাশিয়ার থেকে অতিরিক্ত তেল বা শক্তির উৎস না কেনার ব্যাপারে উৎসাহিত করব। বিভিন্ন দেশের অবস্থান আলাদা, তাদের চাহিদা ও প্রয়োজনেও তারতম্য রয়েছে। তবে আমরা আমাদের বন্ধু এবং সহযোগীদের বেশি পরিমাণে রাশিয়ার থেকে শক্তি উৎস না কেনারই আবেদন করব।” আমেরিকার এই বক্তব্য নিয়ে স্পষ্টভাবেই নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ভারত।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এই বক্তব্যের জবাবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারত রাশিয়ার থেকে একমাসে যে পরিমাণ তেল কেনে ইউরোপ এক বিকেলেই রাশিয়ার সেই পরিমাণ তেল কেনে। “আপনারা যদি রাশিয়ার থেকে তেল কেনার বিষয়টি দেখেন তবে আপনাদের আমি পরামর্শ দেব ইউরোপের দিকে নজর দিন। আমরা নিঃসন্দেহে রাশিয়ার থেকে তেল কিনি, তবে সেটা আমাদের দেশের চাহিদা সুনিশ্চিত করতে। তবে যাবতীয় পরিসংখ্যান দেখে আমার সন্দেহ আমরা গোটা মাসে রাশিয়ার থেকে যে পরিমাণ তেল কিনি, তা ইউরোপের একটি বিকেলের ক্রয়ের তুলনায় কম।” এদিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বৈঠক হয়েছে।