PM Modi-Joe Biden Meeting: ‘ভারত নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে, তবে…’, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে পক্ষপাত নিয়ে কী বলল আমেরিকা?
PM Modi-Joe Biden Meeting: দুই দেশের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয় যে আমেরিকা কি ভারতকে কোনও পক্ষ নিতে বলেছে? এর জবাবে আমেরিকার তরফে বলা হয়, "ভারত নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে। তবে এই বিষয়ে আলোচনা জারি থাকবে।"
নয়া দিল্লি: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে আগেও। তবে সোমবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই (Russia-Ukraine War) প্রাধান্য পেল মোদী-বাইডেনের আলোচনায় (Narendra Modi-Joe Biden Meeting)। বৈঠক শেষের পরই সাংবাদিক বৈঠকে আমেরিকার তরফে বলা হয়, “সঙ্কট নিয়ে ভারত নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে চিন ও রাশিয়ার মধ্যে যদি দৃঢ় সংযোগ দেখা যায়, তবে তা অবশ্যই তাদের চিন্তাভাবনায় প্রভাব ফেলবে।”
সোমবারের বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কিকে মুখোমুখি আলোচনার পরামর্শও দেন তিনি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত ইউক্রেনকে কীভাবে ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছে, সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ইউক্রেনের বুচা শহরে নিরীহ নাগরিকদের হত্যার যে খবর মিলেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি এবং নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি করছি। আমরা আশা করছি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পথ বের হবে। আমরা ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও বিনা বাধায় যাতে মানবিক সহায়তা পাঠানো যায়, তার দাবিই জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আমি যখন ওয়াশিংটনে গিয়েছিলাম, তখন আপনারা বলেছিলেন যে ভারত-আমেরিকার অংশীদারি সম্পর্ক বিশ্বের একাধিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করেছে। আমি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ সহমত। বিশ্বের অন্যতম বড় ও প্রাচীন দুটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মধ্যে অংশীদারি সম্পর্ক রয়েছে।”
দুই দেশের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয় যে আমেরিকা কি ভারতকে কোনও পক্ষ নিতে বলেছে? এর জবাবে আমেরিকার তরফে বলা হয়, “ভারত নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে। তবে এই বিষয়ে আলোচনা জারি থাকবে।”
এই বিষয়ে বলতে গিয়েই সম্প্রতি হওয়া হত্যালীলা নিয়ে ভারত যে নিন্দায় সরব হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গও টেনে আনা হয়।আমেরিকার বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারত এই সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে। সম্প্রতিই আপনারা দেখেছেন যে হত্যালীলা নিয়েও ভারত সরব হয়েছেন। ভারত ইউক্রেনে ওষুধ সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে। যখন ভারতীয় পডুয়ারা ইউক্রেনে আটকে ছিল, তখনও ভারত সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে। তাই আমরা এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা জারি রাখব। আমাদের মনে হয় ভারত নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে, তবে আমরা আলোচনা জারি রাখব।”
হোয়াইট হাউসের আধিকারিকরা আরও বলেন, “আমরা জানি রাশিয়ার কিছু উদ্বেগ রয়েছে। আমরা এটাও জানি যে ভারত রাশিয়া ও চিনের সম্পর্ক নিয়েও উদ্বিগ্ন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে ভারতকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। রাশিয়া ও চিনের মধ্যে যদি দৃঢ় সম্পর্ক দেখতে পায়, তবে ভারত অবশ্যই এই বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে।”