AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

GPS-এর থেকেও নিঁখুত, আরও ভাল করে রাস্তা খুঁজে দিতে শীঘ্রই আম-আদমির মোবাইলে আসছে ভারতীয় ‘নাবিক’

Indian Navigation: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হাতে রয়েছে গ্যালিলিও। রাশিয়ার রয়েছে নিজস্ব স্যাটেলাইট সিস্টেম গ্লোনাস। চিনের রয়েছে বাইডু। জাপান ব্যবহার করে কিউজেডএসএস। এই এলিট ক্লাবেরই ষষ্ঠ সদস্য দেশ ভারত।

GPS-এর থেকেও নিঁখুত, আরও ভাল করে রাস্তা খুঁজে দিতে শীঘ্রই আম-আদমির মোবাইলে আসছে ভারতীয় ‘নাবিক’
গ্রাফিক্স- শুভ্রনীল দে
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2023 | 11:23 PM
Share

নয়া দিল্লি: সালটা ১৯৯৯। কার্গিলে ঢুকে পড়েছে পাক হানাদাররা। পাহাড়ের উপরের উঁচুতে দিয়েছে গা ঢাকা। তাঁদের লোকেট করতে হিমশিম খাচ্ছে ভারতীয় সেনা। সেদিন আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তবে সাহায্য করেননি বিল ক্লিন্টন। শেষমেষ ইজরায়েলের দেওয়া লেজ়ার গাইডেড বোমায় পাক ঘাঁটি গুলি উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। ভাবনাটা তখনই সরকারের মাথায় এসেছিল। অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে থাকলে যে আর চলবে না সেটা বুঝে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রনেতারা। সবাই বুঝেছিলেন ভারতের নিজস্ব স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম থাকা দরকার। সেই মতো কাজও শুরু করে দেয় ইসরো। শুরু ইন্ডিয়ান রিজিওন্যাল স্য়াটেলাইট সিস্টেম নামে নতুন প্রজেক্ট। লক্ষ্য ছিল নাবিক। পুরো কথা Navigation with Indian Constellation (NavIC). সূত্রের খবর, আগামী এক দেড় বছরের মধ্যে এই নাবিক আম-আদমির মোবাইলে চলে আসবে। 

ভারতের আটটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে কাজ করে নাবিক। ভারত ও ভারতের চারদিকে দেড় হাজার কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে নাবিকের চোখ। জিপিএসের চেয়েও অনেক বেশি নিখুঁত। এই জিপিএস আবার আমেরিকার স্যাটেলাইট সিস্টেম। নাবিক কোনও টার্গেটকে ৫ মিটারের মধ্যেই লোকেট করতে পারে। সেখানে জিএপএস কোনও টার্গেটকে তাঁর ২০ থেকে ২৫ মিটারের মধ্যে লোকেট করতে পারে। কার্গিলে মার্কিন সাহায্য না পেয়ে পরে স্যাটেলাইট নেভিগেশনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাত ধরে। ২০০৫ সালে ঠিক হয় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে এই সিস্টেম। সেই মতো ইসরো কাজ শুরু করে। নাবিকের জন্য ধাপে ধাপে ৮টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে খরচ হয় দেড় হাজার কোটি টাকা। ২০১৮ সালে নাবিক চালু হয়ে যায়। 

এখন ভারতীয় সেনা এটা ব্যবহার করে। জিপিএসের চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত হওয়ায় ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে সেনা নাবিকের উপরেই নির্ভর করে। আমেরিকার হাতে যেখানে জিপিএস আছে, সেখানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হাতে রয়েছে গ্যালিলিও। রাশিয়ার রয়েছে নিজস্ব স্যাটেলাইট সিস্টেম গ্লোনাস। চিনের রয়েছে বাইডু। জাপান ব্যবহার করে কিউজেডএসএস। এই এলিট ক্লাবেরই ষষ্ঠ সদস্য দেশ ভারত। এখন সেনা শুধু নাবিক ব্যবহার করলেও পরবর্তীতে সব মানুষের মোবাইলে এই নাবিক চলে এলে সব মানুষই এর সুবিধা পাবেন। মৎসজীবীদের সমুদ্র যাত্রা আরও নিরাপদ হবে। নাবিক কিন্তু, এখনও লোকাল। অন্য দেশে কাজ করে না। আমেরিকার জিপিএস কিন্তু, আন্তর্জাতিক। সব দেশেই কাজ করে। এর জন্য মহাকাশে রয়েছে আমেরিকার ৩০টি উপগ্রহ। সরকারের লক্ষ্য নাবিকের চোখ প্রতিটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। এর জন্য ৩৫টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের ভাবনা রয়েছে।