AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে কার্গিল-‘নায়ক’ বিরাট!

এক সপ্তাহ হল গুজরাটের ভাবনগরে শ্রী রাম গ্রুপ শুরু করেছে এই যুদ্ধ জাহাজ ভেঙে ফেলার কাজ। এই বিখ্যাত রণতরী ভেঙে ফেলার জন্য কাজ করছেন ২৫০ জনেরও বেশি কর্মী।

ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে কার্গিল-'নায়ক' বিরাট!
ফাইল চিত্র
| Updated on: Dec 13, 2020 | 2:04 PM
Share

আলাং: ৩০ বছরের ঐতিহাসিক যাত্রা শেষ করেছে আইএনএস বিরাট (INS Viraat)। চলছে বিখ্যাত এই রণতরীকে ভেঙে ফেলার কাজ। রবিবার উচ্চ জোয়ারে দ্রুততা আসবে সেই প্রক্রিয়ায়। উচ্চ জোয়ারের জেরে আলাং সমুদ্র উপকূলের আরও কাছে পৌঁছে যাবে কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম এই যুদ্ধ জাহাজ।

এক সপ্তাহ হল গুজরাটের ভাবনগরে শ্রী রাম গ্রুপ শুরু করেছে এই যুদ্ধ জাহাজ ভেঙে ফেলার কাজ। এই বিখ্যাত রণতরী ভেঙে ফেলার জন্য কাজ করছেন ২৫০ জনেরও বেশি কর্মী। শ্রী রাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ পাটেল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জাহাজের ৫ শতাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখনও উপকূল থেকে ৬০০ ফুট দূরে রয়েছে আইএনএস বিরাট।

২ মাস আগে আলাং এসে পৌঁছে ছিল আইএনএস বিরাট। ১ মাস আগে জাহাজটি ভেঙে ফেলার অনুমতি দেয় গুজরাট মেরিটাইম বোর্ড (Gujarat Maritime Board)। জাহাজটির একাধিক পর্যবেক্ষণের পর ভেঙে ফেলার অনুমতি দেয় গুজরাট দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদও। একাধিকবার জাহাজটিকে সংগ্রহশালায় রূপান্তরের চেষ্টা হলেও সম্ভব হয়নি, অবশেষে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পড়ে।

আরও পড়ুন: “নো ফার্মার নো ফুড”, কৃষক আন্দোলনে ৯ বছর বয়সী পরিবেশ কর্মী লিসিপ্রিয়া

আলাংয়ে প্রথম জাহাজটি যখন পৌঁছয় তখন এটি উপকূল থেকে ৩,০০০ ফুট দূরে ছিল। তারপর একাধিক উচ্চ জোয়ারে ‘ধ্বংসের দিকে’ এগিয়ে এসেছে এই রণতরী। শ্রী রাম গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে, জাহাজটিকে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে বছর খানেক লাগবে। এর আগে ২০১৪ সালে মুম্বইয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত। তালিকায় দ্বিতীয় নাম, আইএনএস বিরাট।