Agnipath scheme: সরকার গঠনের আগেই ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’ নিয়ে বড় দাবি নীতীশের দলের

JDU: ২০১৪ ও ২০১৯-এ বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও কেবল নিজেদের সিদ্ধান্তে অনেক বিল সহজেই পাশ হয়ে যায় সংসদে। যার মধ্যে একটি হল, অগ্নিপথ প্রকল্প। তবে এবার এই প্রকল্প পুনর্বিবেচনার দাবি জানাল নীতীশ কুমারের দল।

Agnipath scheme: সরকার গঠনের আগেই 'অগ্নিপথ প্রকল্প' নিয়ে বড় দাবি নীতীশের দলের
অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা নীতীশ কুমারের দলের।
Follow Us:
| Updated on: Jun 06, 2024 | 4:16 PM

পটনা: ভোটের ফলের সঙ্গেই বদলে যাচ্ছে পাশা! সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ব্যাপারে ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’ এনেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় এনডিএ সরকার। এবার তৃতীয় এনডিএ সরকার গঠন হওয়ার আগেই সেই অগ্নিপথ প্রকল্প বদলের কথা উঠল। আর একথা জানিয়েছেন এনডিএ-র অন্যতম শরিক দল, নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ)।

বৃহস্পতিবার এক জনসভা থেকে জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী জানান, এনডিএ সরকার গঠিত হওয়ার পরই অগ্নিপথ প্রকল্প পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হবে। তিনি বলেন, “অগ্নিপথ প্রকল্পের পুনর্বিবেচনার দরকার। এই প্রকল্পের ব্যাপারে বহু বিরোধিতা রয়েছে এবং তার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনের ফলে।”

২০১৪ ও ২০১৯-এ বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও কেবল নিজেদের সিদ্ধান্তে অনেক বিল সহজেই পাশ হয়ে যায় সংসদে। যার মধ্যে একটি হল, অগ্নিপথ প্রকল্প। তবে এবার ফের এনডিএ সরকার গড়লেও বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে এবারের এনডি জোটের অন্যতম চালিকাশক্তি নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ)। এবার সেই শরিক দলের তরফেই অগ্নিপথ প্রকল্প বদলের কথা উঠল।

অগ্নিপথ প্রকল্প পুনর্বিবেচনার কথা বললেও বিষয়টি নিয়ে এখনই বিরোধিতায় যেতে নারাজ জেডিইউ। ত্যাগির কথায়, “আমরা এটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হব না…তবে যখন অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, তখন সশস্ত্র বাহিনীর একটি বড় অংশের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। তাদের পরিবারও নির্বাচনের সময় প্রতিবাদ করেছিল। তাই, এটা নিয়ে আলোচনা করা দরকার।”

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে অগ্নিপথ প্রকল্পটি সংসদে পাশ হয় এবং ওই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশে চালু করা হয়। এই প্রকল্প মোতাবেক, ম্যাট্রিক পাস করলেই সেনা, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়।

এদিন এনডিএ সরকারের ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’ ছাড়াও ‘এক দেশ, এক ভোট’ এবং ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন বলে জানান বিহারের জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী।