Kalyan Banerjee: ‘সৌগতর নারদার টাকা খাওয়ার জন্য…’, তৃণমূলের অন্দরে ‘গৃহযুদ্ধ’ এবার রাস্তায়, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন কল্যাণ
Kalyan Banerjee: প্রসঙ্গত, এক মহিলা সাংসদের সঙ্গে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাগযুদ্ধ সামনে এসেছে! তৃণমূলের লোকসভা সাংসদদের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের বিভিন্ন বক্তব্যের স্ক্রিনশট এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিজেপি অমিত মালব্য।

কলকাতা: তৃণমূল সংসদীয় দলের অন্দরে ‘গৃহযুদ্ধ’, আর সেই ‘যুদ্ধ’ আজ খুলেআম। সাংবাদিক বৈঠক করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এক মহিলা সংসদের সঙ্গে অশান্তির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কল্যাণ বিঁধে ফেললেন দলের আরও এক প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়কেও। সরাসরি বলেই ফেললেন, “সৌগত রায়ের নারদা কেসের জন্যই তো দলের ভাবমূর্তি অনেক নষ্ট হয়েছে।” পাল্টা TV9 বাংলাকে প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “কল্যাণের রুচিবোধও কম, সভ্যতাও কম।”
প্রসঙ্গত, এক মহিলা সাংসদের সঙ্গে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাগযুদ্ধ সামনে এসেছে! তৃণমূলের লোকসভা সাংসদদের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের বিভিন্ন বক্তব্যের স্ক্রিনশট এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিজেপি অমিত মালব্য। সামনে আসে একটি ভিডিয়োও। তাতেই তৃণমূল অন্দরের অশান্তির বিষয়টি চলে আসে প্রকাশ্যে। গোটা বিষয়ে মুখ খোলেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই ধরনের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল কল্যাণের ওপর। তিনি তাঁর ক্ষমতায় অপব্যবহার করেছিলেন বলেও সৌগত বলেন। সে বিষয়ে সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হলে কল্যাণ বলেন, ” কোন পাওয়ারের অপব্যবহার করেছি? কোন ক্ষমতায় অপব্যবহার?”
কল্যাণ বলেন, “ওয়াকফ বিল নিয়ে দিদি যা বলেছে, তাই বলেছি। আমাদের দলে নেত্রী যা বলেন, সেটাই হয়।” এরপরই বোমা ফাটান কল্যাণ। তিনি বলেন, “দলের ভাবমূর্তি অনেক কারণে নষ্ট হয়। সৌগত রায়ের জন্য নষ্ট হয়নি? সৌগতর নারদার টাকা খাওয়ার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি? “
কল্যাণের কথায়, “সৌগত রায় তো সে সময়ে পালিয়ে যেত। ২০১৬-১৭-১৮ সালের কথা… যে সময়ে ওকে দেখলেই চোর চোর বলত সকলে, নারদা কাণ্ডে যাদের নাম জড়িয়েছিল, তাদের একজন এমপি বসে থাকত? সেই তো আমাকে বসে বসে শুনতে হয়েছে। নারদার থেকে সৌগত রায়রাই ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।”
সই প্রসঙ্গকে সৌগতকে খোঁচা দিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কল্যাণ বলেন, “ও জানো সেদিন আমায় লাউঞ্জে বসে কী কথা বলল আমায়… তারপর এখন একটা সিগনেচার নিয়ে এত কথাবার্তা! সৌগত রায়ের কোনও ক্যারেক্টর রয়েছে নাকি? এখানে এক কথা বলে, ওখানে আরেক কথা বলা।”
২০০১ সাল থেকে সৌগত রায় তাঁকে পছন্দ করেন না বলে জানান কল্যাণ। তাঁর কথায়, “প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সীর কাছের লোক ছিল ওঁরা। ওর জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। নারদার চোর একটা…টাকা কে নিয়েছে? চোরগুলো সব এক জায়গায় চলে এসেছে।”
এপ্রসঙ্গে সৌগত রায়কে প্রশ্ন করা হলে TV9 বাংলাকে তিনি বলেন, “কল্যাণের রুচিবোধও কম, সভ্যতাও কম, শ্লীলতাও কম। নারদার চোর হলে সেটা প্রমাণ করতে পারল না কেন কোর্টে?”
