শবরীমালায় পুণ্যার্থী সংখ্যা নিয়ে হাইকোর্টের সঙ্গে বিরোধ, সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ কেরল সরকার

আর্জিতে কেরল সরকার জানিয়েছে, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল, সপ্তাহান্তে তিন হাজার পুণ্যার্থী ও সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে দুই হাজার দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

শবরীমালায় পুণ্যার্থী সংখ্যা নিয়ে হাইকোর্টের সঙ্গে বিরোধ, সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ কেরল সরকার
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 25, 2020 | 11:16 AM

তিরুবনন্তপুরম: ফের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এল শবরীমালা (Sabarimala temple)। তবে এবার মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নয়, দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়েই হাইকোর্টের সঙ্গে বিরোধ বাঁধল রাজ্য সরকারের (Kerala Government)। দর্শনার্থী সংখ্যা কমানোর দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)-র দারস্থ হল পিনারাই বিজয়নের সরকার।

শবরীমালা উৎসবের কারণে ২০ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি অবধি কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৈনিক পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কেরল হাইকোর্ট সেই সংখ্যা বাড়িয়ে জানায়, দৈনিক পাঁচ হাজার পুণ্যার্থী মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে।

১৮ ডিসেম্বরের কেরল হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে পেশ করা আর্জিতে কেরল সরকার জানিয়েছে, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল, সপ্তাহান্তে তিন হাজার পুণ্যার্থী ও সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে দুই হাজার দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: রাতারাতি ফের অবস্থান বদলে নাইট কার্ফু তুলে নিল ইয়েদুরাপ্পা সরকার

আর্জিতে আরও বলা হয়, “যদি পুণ্যার্থীদের সংখ্যা বাড়ানো হয়, তবে পুলিস ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরই চাপ সৃষ্টি হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারও ব্রিটেনের যাবতীয় উড়ান বাতিল করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেরল সরকার অবিলম্বে আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন জানাচ্ছে যাতে শবরীমালা উৎসবের সময় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।”

ওনাম উৎসবের পরই কেরলে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল, তাতে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)-কে। সংক্রমণের রেশ এখনও না কাটায় এবং করোনার নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মেলায় এবার ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার।

আরও পড়ুন: ফোন সুইচ অফ, ব্রিটেন ফেরতদের খুঁজতে নাজেহাল যোগী সরকার