নির্বাচনের আগেই হাইওয়ে থেকে লুঠ সাড়ে ৩ কোটি টাকা, পুলিশি নজরে কেরলের একাধিক বিজেপি নেতা
শুক্রবার এম গণেশনকে তিনঘণ্টা জেরার পর, শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি জি গিরিশীনকেও জেরা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

তিরুবনন্তপুরম: বিধানসভা নির্বাচনের (Kerala Assembly Election 2021) তিনদিন আগে ত্রিশূর-এরনাকুলাম হাইওয়েতে একটি গাড়ি থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা লুঠের মামলায় এ বার পুলিশের নজরে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এম গণেশন। নির্বাচনের মুখে এত বড় টাকা লুঠের ঘটনায় শুক্রবার তাঁকে জেরা করে কেরল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ত্রিশূর-এরনাকুলাম হাইওয়ের উপর একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে মোট সাড়ে তিন কোটি টাকা লুঠ করা হয়। ৭ এপ্রিল ওই গাড়ির চালক থানায় অভিযোগ জানান। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, কোঝিকোড়ের আরএসএস কর্মী একে ধর্মরাজনের কাছে ২৫ লাখ টাকা পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই ধীরে ধীরে টাকার অঙ্ক বাড়তে থাকে।
যে গ্যাং ওই টাকা লুঠ করেছিল, তাঁদের কাছ থেকে মোট এক কোটি টাকা উদ্ধার হয়। পুলিশি জেরায় ধৃতরা জানায়, ২৫ লাখ নয়, গাড়ি থেকে তাঁরা মোট সাড়ে তিন কোটি টাকা লুঠ করেছিল। এত টাকা কোথা থেকে এল এবং নির্বাচনের তিনদিন আগে সেই টাকা কোথায় ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা নিয়েও তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
শুক্রবার এম গণেশনকে তিনঘণ্টা জেরার পর, শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি জি গিরিশীনকেও জেরা করা হতে পারে। এর আগে বৃহস্পতিবার আলাপ্পুজ়া জেলার বিজেপি সভাপতি কেজি কার্থাকেও জেরা করে পুলিশ। জেরায় জানা গিয়েছে, টাকা লুঠের কয়েকদিন আগে ও পরে ধর্মরাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কার্থা।
পুলিশের অনুমান, বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহারের জন্যই দলের নির্বাচনী তহবিল থেকে ওই টাকা অনত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই লুঠপাটের সঙ্গে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের যোগাযোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্মী জানান, আগামিদিনে আরও কয়েকজন বিজেপি নেতাকে জেরার জন্য নোটিস দেওয়া হবে। টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত, সন্দেহের তালিকায় থাকা এমন সকলের নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিশেষত ধর্মরাজনের সঙ্গে যারা ঘটনার আগে ও পরে যারা যোগাযোগ করেছেন, তাদের সকলকেই জেরা করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনায় বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, আগামী ৩ বছরে ৮০টি হাসপাতাল তৈরির ঘোষণা অন্ধ্র প্রদেশে
