৭০ লক্ষ দর্শনার্থী নিয়ে ‘স্বল্পমেয়াদী’ কুম্ভে ইতি, মেলা প্রাঙ্গণেই খোঁজ ২৬৪৮ করোনা আক্রান্তের
এপ্রিল মাসের শুরু থেকে কুম্ভ মেলা আরম্ভ হয়। করোনা কালেও একমাসেই এখানে ভিড় হয় ৭০ লাখ দর্শনার্থীর।
ঋষিকেশ: অবশেষে শেষ হল কুম্ভ মেলা। করোনা সংক্রমণের কারণে মেয়াদ চার মাস থেকে কমিয়ে এক মাস করা হয়েছিল। তবুও ভিড় কিছু কম হল না। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে যখন দেশ নাজেহাল, সেই সময়েই কুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৭০ লক্ষ পুণ্যার্থী।
১৪ বছর পর কু্ম্ভ মেলার আয়োজন করা হয় বলে সাধারণত চারমাস ধরে চলে এই মেলা। কিন্তু চলতি বছরে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এ বার তার মেয়াদ কমিয়ে এক মাস করা হয়েছিল। ১২, ১৪ ও ২৭ তারিখে আগত দর্শনার্থীরা গঙ্গায় শাহি স্নান সারেন।
রাজ্যের তরফে একাধিক সুরক্ষাবিধি অনুসরণ করা হলেও কার্যত সুপার স্প্রেডারে পরিণত হতে চলেছিল কুম্ভ মেলা। কেবল কুম্ভ মেলা প্রাঙ্গণ থেকেই ২৬৪২ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে। অরক্ষিত মুখ, সামাজিক দূরত্ব ভুলে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন সমস্ত দেশবাসীই। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সংক্রমণের কথা উল্লেখ করে প্রতীকী শাহি স্নান সারার অনুরোধ জানান।
কুম্ভমেলার জন্য বিশেষ নিয়োজিত স্বাস্থ্য আধিকারিক অর্জুন সিং সেঙ্গার বলেন, “অন্যান্যবারের তুলনায় আগত দর্শনার্থীর সংখ্যা কম হলেও সামাজিক দূরত্ব পালন করে মেলা পরিচালন করা যথেষ্ট কষ্টকর ছিল। সাধু সন্ন্যাসীরা করোনা পরীক্ষা করাতে না চাইলেও দ্বিতীয় শাহি স্নান শেষের পর সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর পেয়ে নিজেরাই পিছু হটে।”
তিনি জানান, উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় মোট ১ লাখ ৯০ হাজার ৮৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ২৬৪২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
মেলা চলাকালীনই করোনা আক্রান্ত হয়ে এক আখড়ার প্রধানের মৃত্যু ও অপর দুই আখ়ডার গুরু ও সন্ন্যসিনীরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তারাও দ্বিতীয় শাহি স্নানের পরে পিছু হটে। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে জুনা আখড়াও মেলা থেকে পাততাড়ি গোটানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ, ঠাকরে রাজ্যে একদিনেই আক্রান্ত প্রায় ৬৩ হাজার, মৃত ৮২৮