MP Mohammed Faizals: দুই মাসের মধ্যে সাংসদ পদ ফিরল এনসিপি নেতার, শিক্ষা নেবেন রাহুল?
Lakshadweep MP Mohammed Faizals: রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বুধবার সাংসদ পদ ফেরত পেলেন লক্ষদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জল।
নয়া দিল্লি: মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে গুজরাটের সুরাটের এক আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। যার জেরে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এই নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে বুধবার (২৯ মার্চ) খোয়া যাওয়া সাংসদ পদ ফিরে পেলেন লক্ষদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জল। এক হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল তাঁর। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর গত জানুয়ারি মাসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তবে দিন কয়েকের মধ্যেই তাঁর সাজা স্থগিত করেছিল কেরল হাইকোর্ট। তারপর, লোকসভা সচিবালয়ে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন মহম্মদ ফয়জল। এদিন সাংসদ পদ ফিরে পেলেন তিনি।
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিএম সঈদের এক আত্মীয়কে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন মহম্মদ ফয়জল। এমনই দাবি করে ২০১৬ সালে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার বিচার চলাকালীনই ২০১৯ সালে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তাঁকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল এক নিম্ন আদালত। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজনকেও একই সাজা দেওয়া হয়। দুই দিন পরই, লোকসভা সচিবালয় থেকে তাঁকে সংসদে অযোগ্য হিসেবে নোটিস পাঠিয়েছিল। ১৮ জানুয়ারি, নির্বাচন কমিশন ঘোষমা করেছিল ২৭ জানুয়ারি লক্ষদ্বীপে উপনির্বাচন হবে। কিন্তু, ভোটের ঠিক দুই দিন আগে, কেরল হাইকোর্ট ফয়জলের সাজা স্থগিত করেছিল। নির্বাচন কমিশনও উপনির্বাচন স্থগিত রাখে।
এই ঘটনার পর দুই মাস পেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, তাঁর সাংসদ পদ ফেরায়নি লোকসভা সচিবালয়। এরপরই সাংসদ পদ ফিরে পেতে মহম্মদ ফয়জল লোকসভা সচিবালয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। ৩০ জানুয়ারি, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। তাঁর দলের নেতার সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তারও দুই মাস পর লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন মহম্মদ ফয়জল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, উচ্চ আদালতে আবেদনের সময় রাহুল গান্ধীর আইনি দল মহম্মদ ফয়জলের ঘটনা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে পারে। উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন রাহুল গান্ধী।