Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ এথিক্স কমিটির: সূত্র
Mahua Moitra: আরও বিপাকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার মামলায় বুধবার সন্ধ্যাতেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এবার লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
নয়া দিল্লি: আরও বিপাকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার মামলায় বুধবার সন্ধ্যাতেই তৃণমূল সাংসদের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে CBI তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এবার লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়ার সাংসদ পদ (TMC MP) খারিজের সুপারিশ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। মহুয়া মৈত্র ‘অনৈতিক ও খুব আপত্তিকর’ কাজ করেছে অভিযোগ তুলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ আসছে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।
৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার লোকসভার এথিক্স কমিটির বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটি কী পদক্ষেপ করার ভাবনা-চিন্তা করছেন, সে বিষয়ে বৈঠকের আগেই বুধবার রাতে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এথিক্স কমিটি ৫০০ পাতার একটি রিপোর্ট দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র ‘অনৈতিক ও খুব আপত্তিকর’ কাজ করেছেন এবং তাঁকে শাস্তি দেওয়া উচিত। শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ও দামি উপহার নিয়ে, তাঁর তৈরি করে দেওয়া প্রশ্ন সংসদে উত্থাপন করার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আইনিভাবে তদন্ত করা উচিত বলেও এথিক্স কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্টটি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সময় লোকসভার স্পিকারের কাছে পাঠানো হবে এবং তারপর আলোচনার প্রেক্ষিতে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ও দামী উপহার নিয়ে, তাঁর তৈরি করে দেওয়া প্রশ্ন সংসদে উত্থাপন করার অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করেছেন মহুয়া মৈত্র। তবে দর্শন হিরানন্দানিকে ‘বন্ধু’ হিসেবে লোকসভার সচিবালয়ের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন তৃণমূল সাংসদ। এরপর ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে নামে লোকসভার এথিক্স কমিটি। গত ২ নভেম্বর, এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেন মহুয়া। তবে, এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে মাঝপথেই বেরিয়ে আসেন তিনি।