উজ্জয়িনী নাবালিকা ধর্ষণ: অভিযুক্তকে ধরতে ৭ হাজার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ
এই ঘটনার তদন্ত নিয়ে এক পুলিশ ইনস্পেক্টর সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “এই মামলার সাইবার ইনভেস্টিগেশনে ৩০-৩৫ জন নিযুক্ত ছিলেন। তাঁরা তিন-চার দিন ঘুমাননি। আমরা যখন অপরাধ স্থলে পৌঁছই, তার পর অপরাধীকে ধরতে গিয়েছিলাম। তখন পুলিশকে দেখেই অভিযুক্ত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমরা তাকে ধরে ফেলি।”
ভোপাল: উজ্জয়িনীতে নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মধ্য প্রদেশ পুলিশ। অভিযুক্ত পেশায় অটোচালক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অটোচালক ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে উজ্জয়িনী রেলস্টেশন থেকে অটোতে তুলেছিলেন। তার পর তাকে ধর্ষণ করে অর্ধনগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছেড়ে দেন। তাঁকে ধরতে মধ্য প্রদেশ পুলিশের বিশেষ দল রাতদিন কাজ করেছে। টানা তিন-চার দিন ধরে খাওয়া-ঘুম ভুলে ধর্ষণে অভিযুক্তকে ধরার কাজ করেছেন পুলিশকর্মীরা। এ জন্য উজ্জয়িনী এবং আশপাশের এলাকায় থাকা প্রায় ৭ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার তদন্ত নিয়ে এক পুলিশ ইনস্পেক্টর সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “এই মামলার সাইবার ইনভেস্টিগেশনে ৩০-৩৫ জন নিযুক্ত ছিলেন। তাঁরা তিন-চার দিন ঘুমাননি। আমরা যখন অপরাধ স্থলে পৌঁছই, তার পর অপরাধীকে ধরতে গিয়েছিলাম। তখন পুলিশকে দেখেই অভিযুক্ত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমরা তাকে ধরে ফেলি।”
অভিযুক্ত অটোচালকের পাশাপাশি অপর এক অটোচালকের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধর্ষণের পর ওই চালকের অটোতে উঠেছিল নির্যাতিতা। কিন্তু সেই অটোচালক সবকিছু দেখলেও ঘটনার কথা পুলিশকে জানাননি। পকসো আইনের অধীনে তা অপরাধ বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার।
অন্য দিকে নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত অটোচালকের বাবা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তিনি বলেছেন, “আমার ছেলে যদি সত্যিই দোষ করে থাকে তাহলে ওর শাস্তি পাওয়া উচিত। দোষী হলে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আমি কিছু বলতে যাব না।”
জানা গিয়েছে, নাবালিকার চিকিৎসার জন্য দুই পুলিশকর্মী রক্তও দিয়েছেন। এক পুলিশ অফিসার মামলা মিটে গেলে নাবালিকাকে দত্তক নেবেন বলেও জানিয়েছেন।