Maharashtra: আড়াই লক্ষ টাকার সোনার চেন গিলে নিল মোষ! উদ্ধার করতে কেটে গেল তিনদিন
Maharashtra: মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম জেলার মঙ্গরুলপির মহকুমার একটি গ্রামে তিনদিন ধরে হইচই ফেলে দিল মোষটি। তিনদিনের প্রচেষ্টায়, অবশেষে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার পেট থেকে সোনার চেনটি উদ্ধার করা গিয়েছে। কীভাবে তা হল? আসুন জেনে নেওয়া যাক পুরো কাহিনি।
নাগপুর: চর্চার কেন্দ্রে একটি মোষ! অদ্ভুত ঘটনা বললেও বোধহয় কম বলা হয়। মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম জেলার মঙ্গরুলপির মহকুমার একটি গ্রামে তিনদিন ধরে হইচই ফেলে দিল মোষটি। কারণ? একটি ৩ থেকে ৩.৫ তোলা ওজনের সোনার চেনকে জলখাবার বানিয়েছিল সে। তবে, এতে তার কোনও দোষ ছিল না। দুর্ঘটনাবশত, সোনার চেনটি একটি সয়াবিনের খোসার পাত্রে পড়ে গিয়েছিল। আর ওই খোসা তাকে খেতে দেওয়া হয়েছিল। তিনদিনের প্রচেষ্টায়, অবশেষে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার পেট থেকে সোনার চেনটি উদ্ধার করা গিয়েছে। কীভাবে তা হল? আসুন জেনে নেওয়া যাক পুরো কাহিনি।
এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর), মঙ্গরুলপিরের সার্সি গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দা রামহরি ভয়ারের সামান্য কিছু জমি আছে। সেই জমি চাষের জন্য একটি মোষ পোষেন তিনি। ওই দিন, জমি থেকে নতুন তোলা সয়াবিন বাড়িতে এনেছিলেন রামহরি। তাঁর স্ত্রী গীতাবাই, তার থেকে কিছু সয়াবিনের খোসা ছাড়িয়েছিলেন। একটি প্লেটে তিনি খোসাগুলি রেখে দিয়েছিলেন।
প্লেটটি তাঁদের শোওয়ার ঘরেই রাখা ছিল। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়, ভুলবশতঃ তিনি তাঁর গলা থেকে ভারী সোনার চেনটি খুলে ওই প্লেটেই রেখে দিয়েছিলেন। পরদিন সকালে তাঁর ঘুম ভাঙার আগেই অন্য কেউ ওই সয়াবিনের খোসা ভরা প্লেটটি মোষটিকে দিয়েছিল খাওয়ার জন্য। রামহরি জানিয়েছেন, ওইদিন দুপুরে প্রথম তাঁর স্ত্রী টের পেয়েছিলেন যে সোনার চেনটি নেই। তারপর এদিক-ওদিক অনেক খোঁজাখুঁজি করেন তাঁরা। ধরেই নিয়েছিলেন সেটি কেউ চুরি করেছে। কিন্তু, পরে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে তাঁরা বুঝতে পারেন, সম্ভবত তাদের পোষ্য মোষই, সয়াবিনের খোসার সঙ্গে সোনার চেনটিও গলাধঃকরণ করেছে।
এরপর, তাঁরা মোষটিকে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক পশু চিকিৎসকের কাছে। ওই চিকিৎসক বিষয়টি শুনে তাঁদের মোষটিকে নিয়ে ওয়াশিম জেলা সদরে, ডা. বালাসাহেব কৌন্দিন্য নামে এক অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। ডা. কৌন্দিন্য প্রথমেই একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মোষটিকে পরীক্ষা করে দেখেন, তার পেটে সত্যিই ধাতব কোনও বস্তু আছে কিনা। দেখা যায়, সত্যিই ধাতব কিছু আটকে আছে। এরপর, সোনোগ্রাফি করে মোষের পেটের ঠিক কোথায় সেনার চেনটি আটকে আছে, তা দেখেন। এর পরদিন, অর্থাৎ, ২৯ সেপ্টেম্বর, মোষটির পেটে অস্ত্রোপচার করে সোনার চেনটি উদ্ধার করা হয়।
ডা. কৌন্দিন্য জানিয়েছেন, এমনিতে গ্রামের দিকে গরু বা মোষের পেটে অস্ত্রোপচার করা অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। কারণ, অনেক সময়ই গ্রামের মাঠে ঘাস খেতে গিয়ে গবাদি পশুরা প্লাস্টিক, ধাতব বস্তু, কয়েনের মতো বহু ক্ষতিকর বস্তু খেয়ে ফেলে। তাদের অস্ত্রোপচার করে সেগুলি বের করতে হয়। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে মোষটির পেটে যে সোনার চেনটি আটকে গিয়েছিল, সেটির বাজারমূল্য প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা। তাঁর চিকিৎসক জীবনে, কোনও গবাদি পশুর পেট থেকে এত মূল্যবান কোনও বস্তু বের করার অভিজ্ঞতা হয়নি তাঁর।