AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ক্ষমতালোভীর মতো আচরণ অরাজকতাই ডেকে আনবে’, নাম না করেই বিজেপিকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরের

একসময় বিজেপির জোট সঙ্গী শিবসেনা ভবিষ্যতে আবার জোট বাঁধবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজন ও গোপীনাথ মুণ্ডের মৃত্যুর পর থেকেই দুই দলের মধ্যে সম্পর্কে অবিশ্বাস দেখা দিয়েছিল। বিজেপি এখন পুরোপুরিই দিল্লি কেন্দ্রিক।"

'ক্ষমতালোভীর মতো আচরণ অরাজকতাই ডেকে আনবে', নাম না করেই বিজেপিকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরের
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Jun 06, 2021 | 9:33 AM
Share

মুম্বই: করোনা সংক্রমণের মাঝেও রাজনৈতিক দলগুলির দোষারোপের পালা লেগেই রয়েছে। সম্প্রতিই মহারাষ্ট্রে আনলকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীস। এ বার পাল্টা জবাবে বিজেপিকে “ক্ষমতালোভী” বলে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, “করোনা মহামারীর সময়ও যাঁরা ক্ষমতার লোভে বসে রয়েছেন, তাঁরা কেবল অরাজকতাই সৃষ্টি করবে।”

মারাঠি দল লোকসত্তার আয়োজিত একটি অনলাইন অনুষ্ঠানে শনিবার যোগ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেখানেই নাম উল্লেখ না করেই বিরোধী দল বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। করোনা সংক্রমণ নিয়ে তিনি বলেন, “যাঁরা আমায় ভোট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, তাঁদেরই যদি বাঁচাতে না পারি, তবে কী লাভ এমন ক্ষমতার? যাঁরা এই কঠিন সময়েও ক্ষমতালোভীর মতো আচরণ করছেন, তাঁরা কেবল অরাজকতাই সৃষ্টি করবে। সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচানোই এখন সবথেকে জরুরি বিষয়।”

তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও স্বপ্ন ছিল না তাঁর। বরং তাঁর বাবা বাল ঠাকরের কাছে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে একজন সাধারণ শিবসেনা কর্মীকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো হবে। সেই স্বপ্ন এখনও অধরাই রয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” রাজনীতির প্রতি আমার কখনওই ঝোঁক ছিল না। আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম কেবল বাবাকে সাহায্য করার জন্য। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই ১০০ বছর বাদে মহামারী দেখা দিল। তবে আম কখনওই নিজের দায়িত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিইনি। যতটুকু সম্ভব, আমি করেছি।”

একসময় বিজেপির জোট সঙ্গী শিবসেনা ভবিষ্যতে আবার জোট বাঁধবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজন ও গোপীনাথ মুণ্ডের মৃত্যুর পর থেকেই দুই দলের মধ্যে সম্পর্কে অবিশ্বাস দেখা দিয়েছিল। বিজেপি এখন পুরোপুরিই দিল্লি কেন্দ্রিক। জোটে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। আমাদের বর্তমান জোটসঙ্গী (এনসিপি ও কংগ্রেস) আমায় সম্মান দেয়। মহা বিকাশ আগাড়ি জোটে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ হলেও তা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা সকলেই এগিয়ে আসি।”

আরও পড়ুন: ‘সরকারি নথিতেই কেবল গাছ বাড়ছে’, দূষণের জন্য যোগী সরকারকেই দায়ী করলেন অখিলেশ