Ghaziabad Crime: কুলুর জঙ্গলে পড়েছিল পচা-গলা দেহ, হাতের ট্যাটুই ৬ মাস পরে ধরিয়ে দিল খুনিকে

Crime News: অভিযুক্ত জানায়, প্রেমিকার গলার স্কার্ফ দিয়েই তাঁর গলায় পেঁচিয়ে খুন করে। তারপরে দেহ কুলুর একটি জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসে।

Ghaziabad Crime: কুলুর জঙ্গলে পড়েছিল পচা-গলা দেহ, হাতের ট্যাটুই ৬ মাস পরে ধরিয়ে দিল খুনিকে
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2022 | 12:01 PM

গাজিয়াবাদ: মে মাস থেকে বাড়ি ফেরেনি মেয়ে, ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। থানায় গিয়ে এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছিলেন বৃদ্ধা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ শুরু করেছিল তল্লাশি অভিযান। মাস খানেক ধরে চলে তল্লাশি, কিন্তু কোনও খোঁজ মিলছিল না নিখোঁজ ওই যুবতীর। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নিখোঁজ যুবতীর মা অভিযোগ করেন, মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পিছনে তাঁর মেয়ের প্রেমিকের হাত থাকতে পারে। এরপরই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারেন। জানা যায়, ওই যুবকই তাঁর লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করেছে। তাও আবার বাড়িতে নয়, প্রেমিকাকে হিমাচল প্রদেশে নিয়ে গিয়ে খুন করেন। শুক্রবার গাজিয়াবাদ পুলিশের তরফে ওই যুবককে লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

গাজিয়াবাদ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত মে মাসে হিমাচল প্রদেশে প্রেমিকা দিব্যাকে নিয়ে ঘুরতে যান অভিযুক্ত রমন। সেখানেই তাঁর প্রেমিকাকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেন এবং তারপর কুলুর জঙ্গলে সেই দেহ ফেলে দেন এবং গাজিয়াবাদে ফিরে আসেন। বিগত প্রায় ৭ মাস ধরে খুনের কথা গোপন করে রাখে অভিযুক্ত। মৃতার মা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, প্রশ্ন করলে নানা বাহানা বানাত অভিযুক্ত।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,  নিখোঁজ যুবতীর মা কয়েক মাস আগে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পিছনে তাঁর প্রেমিক রমনের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সম্প্রতি অভিযুক্ত রমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, সে জানায়, মে মাসে প্রেমিকা দিব্যাকে নিয়ে তিনি হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে যান। সেখানেই কুলুতে নিয়ে গিয়ে প্রেমিকাকে খুন করেন।

অভিযুক্ত জানায়, প্রেমিকার গলার স্কার্ফ দিয়েই তাঁর গলায় পেঁচিয়ে খুন করে। তারপরে দেহ কুলুর একটি জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসে। অন্যদিকে, সিমলা পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে, মে মাসেই জঙ্গল থেকে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। সম্প্রতিই গাজিয়াবাদ পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হলে, উদ্ধার হওয়া যুবতীর দেহের ও ট্যাটুর ছবি দেখানো হয়। সেই ট্যাটু দেখেই মৃতার মা দেহ শনাক্ত করেন।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর ভ্রমণের নথিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।