Arms Surrender: মণিপুরে হিংসার মধ্যেই ১৪০ অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সমর্পণ বিদ্রোহীদের
Manipur: মণিপুরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতিত স্বাভাবিক করার প্রশাসন চেষ্টা চালালেও হিংসা যে একেবারে থেমে গিয়েছে তা বলা যাবে না। গত ২৪ ঘণ্টাতেও কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেই সংঘর্ষে অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৬ জন আহত হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি একাধিক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইম্ফল: অশান্ত মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে সম্প্রতি গিয়েছিলেন মণিপুরে। সেখানে গিয়ে তিনি মণিপুর প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাশাপাশি বিদ্রোহীদের উদ্দেশেও বার্তা দেন। বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণ করার বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুরোধ কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে মত মণিপুর প্রশাসনের। শুক্রবার সকাল অবধি মণিপুরের বিদ্রোহীরা ১৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র সমর্পণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সেল্ফ লোডিং রাইফেল, একে-৪৭, ইনসাসের মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। বিভিন্ন বিদ্রোহী দলের সদস্যরা এই অস্ত্র প্রশাসনের কাছে জমা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
মণিপুরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতিত স্বাভাবিক করার প্রশাসন চেষ্টা চালালেও হিংসা যে একেবারে থেমে গিয়েছে তা বলা যাবে না। গত ২৪ ঘণ্টাতেও কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেই সংঘর্ষে অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৬ জন আহত হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি একাধিক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও এন মোলেন গ্রামের একটি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ৪০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে উন্মত্ত জনতা। টি নাতইয়াং গ্রামের প্রায় ৩০টি বাড়িতে ভাঙচুর চলেছে। নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলাও চলেছে। হিংসায় জড়িতদের গুলি এবং বোমা হামলায় মোট ৪ জন নিরাপত্তারক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন। ইম্ফল পশ্চিম জেলার সিংদা এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
মণিপুর গিয়ে অমিত শাহ হিংসা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানান। হিংসা দমন অভিযান রাজ্য পুলিশের থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। কারও থেকে অস্ত্র উদ্ধার হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।