AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Maoists Attack: এই প্রথম অত্যাধুনিক দেশি রকেটে হামলা নকশালদের, শহিদ ৩ আধাসেনা

Maoists Attack: মঙ্গলবার দুপুরে মাওবাদীদের রকেট হামলায় শহিদ হলেন ৩ সিআরপিএফ জওয়ান। মাওবাদীদের তারি রকেট হামলাতেই শহিদ ২ অফিসার সহ ৩ আধাসেনা।

Maoists Attack: এই প্রথম অত্যাধুনিক দেশি রকেটে হামলা নকশালদের, শহিদ ৩ আধাসেনা
ছবি- প্রথম দেশি রকেট হামলা মাওবাদীদের
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2022 | 8:25 PM
Share

ওড়িশা: মালকানগিরিতে যৌথ বাহিনীর কাছে ধাক্কা খাওয়ার পরেই পাল্টা হামলা মাওবাদীদের(Maoist)। মঙ্গলবার দুপুরে মাওবাদীদের রকেট হামলায় শহিদ হলেন ৩ সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান। ছত্তীসগঢ় সীমানা লাগোয়া ওড়িশার নওপাড়া জেলার ভাইসাদানির জঙ্গলে রোড ওপেনিং পার্টির উপর হামলা চালায় গেরিলারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিআরপিএফের ১৯ ব্যাটালিয়নের দুই অ্যাসিস্টান্ট সাব ইনস্পেক্টর শিশুপাল সিং, শিবলাল এবং কনস্টেবল ধর্মেন্দ্র কুমার সিং। 

সিআরপিএফ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে ১৯ ব্যাটালিয়নের রুটিন তল্লাশির আগে এসওপি অনুযায়ী নাশকতা বিরোধী তল্লাশিতে যায় রোড ওপেনিং পার্টি। মূলত, রাস্তায় কোনও আইইডি বা ল্যান্ড মাইন পাতা আছে কি না বা কোনও বিপদ রয়েছে কি না তা জানার জন্য রোড ওপেনিং পার্টি পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, হঠাত্‍ করেই রোড ওপেনিং পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাকি ইউনিটের। বিপদের আঁচ পেয়ে অন্য একটি দল তল্লাশিতে যায়। তারাই জঙ্গলের মধ্যে একটি ফাঁকা জায়গায় খুঁজে পায় তিন জওয়ানের নিথর দেহ। 

রোড ওপেনিং পার্টির আরও কয়েকজন জখম জওয়ানকেও উদ্ধার করা হয়। সিআরপিএফ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে একটি না ফাটা রকেট পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরণ হওয়া রকেটের অংশও। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সিআরপিএফের আধিকারিকদের একাংশের অনুমান দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি রকেট দিয়ে প্রথমে হামলা চালানো হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর। প্রাথমিক হামলায় জখম হওয়ার পর কাছ থেকে নির্বিচারে গুলি চালায় মাওবাদী গেরিলারা। 

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই দেশীয় পদ্ধতিতে আরপিজি বা রকেট প্রপেলড গান তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে মাওবাদীরা। ২০০৪ সালে এলটিটিই-র সহযোগিতায় তারা প্রথম আরপিজি তৈরির চেষ্টা করে। চেন্নাইতে একটি এ রকম রকেট তৈরির কারখানারও হদিশ মিলেছিল সেই সময়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সেই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে মাওবাদীদের টেকনিক্যাল টিম। মাওবাদী সংগঠনে অস্ত্র এবং যোগাযোগের গ্যাজেট তৈরি, মেরামতি এবং আধুনিকীকরণের দায়িত্ব থাকে সেন্ট্রাল টেকনিক্যাল টিমের উপর। ২০১২ সালে কলকাতা থেকে গ্রেফতার হন সেন্ট্রাল টেকনিক্যাল টিমের প্রধান সদানালা রামকৃষ্ণ। জেরায় জানা যায়, আধুনিক রকেট লঞ্চার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কলকাতার বিভিন্ন ডেরায় তৈরি করছিলেন সদানালা। পরিকল্পনা ছিল, রকেটের বিভিন্ন অংশ কলকাতা এবং শহরতলিতে তৈরি করে ছত্তীসগঢ়ে নিয়ে যাওয়া। 

মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া না ফাটা রকেট দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান দেশীয় প্রযুক্তিতে আধুনিক আরপিজি তৈরিতে অনেকটাই সফল মাওবাদীরা। যা অবশ্যই নিরাপত্তা বাহিনীর মাথা ব্যাথার কারণ। সম্প্রতি, ঝাড়খণ্ডে বিভিন্ন হামলায় ‘RAMBO’ বোমা ব্যবহার করেছে মাওবাদীরা। তিরের মাথায় শক্তিশালী আইইডি বেঁধে তা ছোঁড়া হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে তিরের মাথায় বাঁধা আইইডি কার্যকরী কারণ তিরের কোথা থেকে ছোঁড়া হচ্ছে তার হদিশ করতে পারেন না নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।সিআরপিএফ সূত্রে খবর, মাওবাদীরা নিহত জওয়ানদের কাছ থেকে তিনটি একে ৪৭ রাইফেল, ১০ টি ম্যাগাজিন, ৩০০ রাউন্ড গুলি এবং ১০টি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লুট করেছে। হামলাকারীদের খোঁজে গোটা এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথবাহিনী।