AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rath Yatra in Puri: হদিশ মিলছে না জগন্নাথ দেবের ওষুধের! রথযাত্রার আগেই কি বড় অঘটন?

Rath Yatra in Puri: চুরি গিয়েছে, জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার ভেষজ ওষুধ বা পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষের পরিভাষায় মোদক। আর এই চুরির অভিযোগ তুলেছেন খোদ জগন্নাথ মন্দিরের এক বর্ষীয়ান সেবায়ত।

Rath Yatra in Puri: হদিশ মিলছে না জগন্নাথ দেবের ওষুধের! রথযাত্রার আগেই কি বড় অঘটন?
পুুরীর জগন্নাথ মন্দির Image Credit: Getty Image
| Updated on: Jun 26, 2025 | 3:43 PM
Share

ভুবনেশ্বর: দিন পেরতেই রথযাত্রা। তার আগেই বড় বিপদের মেঘ জড়ো হয়েছে পুরীর মন্দিরের আকাশে? চলতি বছর ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, সম্ভবত পুরীর মন্দিরের পতাকা নিয়ে আকাশে উড়ছে একটি চিল। তারপর থেকেই নানা বিপত্তি দেখেছে এই দেশ। তবে গোটাটাই সমাপতনও হতে পারে। এবার সেই ঘটনার পর নতুন বিতর্ক জড়ো হয়েছে পুরীর মন্দির ঘিরে।

চুরি গিয়েছে, জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার ভেষজ ওষুধ বা পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষের পরিভাষায় মোদক। আর এই চুরির অভিযোগ তুলেছেন খোদ জগন্নাথ মন্দিরের এক বর্ষীয়ান সেবায়ত। নাম বলভদ্র হরধর দাস মহাপাত্র। মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছেই এই প্রসঙ্গে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

সেই অভিযোগপত্রে তিনি মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, গত ২১ জুন রাতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মোট ৩১৩টি মোদক মন্দিরের গারদাঘরা কক্ষে নিয়ে আসা হয়। এরপর দিন অনাবসার একাদশী আয়োজন হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় মোট ২৪৩টি মোদকের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ৭০টি মোদকের কোনও হদিশ নেই। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, স্নানযাত্রার পর বড়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তুমুল জ্বর আসে তাদের। সেই সময় এই বিশেষ ভেষজ ওষুধ অর্পণ করা হয় তাঁদের কাছে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধী এই অভিযোগপত্রে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিক ভাবে চুরির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এই মোদক অর্পণের বিষয়টি একেবারে গোপন আচার-অনুষ্ঠান। যা জনসমক্ষে আলোচনা উচিত নয়।’

অন্য দিকে, ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন গোটা ব্যাপারটাকেই ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাগিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘যে ভেষজ ওষুধগগুলির জগন্নাথ দেবের কাছে অর্পণ করা হয়, সেগুলি আগেভাগে কখনওই গুণে রাখা হয় না। সুতরাং এখানে চুরির কোনও প্রশ্নই উঠছে না। তবে যারা অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে উচিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’