শাশুড়ির সঙ্গে খুব ভাব বৌমার, দরজার আড়ালে চলত ‘আসল খেলা’, ঘরে ঢুকতেই যা মিলল, ছিঃছিঃ পাড়া জুড়ে
Police: শাশুড়ি-বৌমা জুটির এমন এক কাণ্ড সামনে এল যাতে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, স্তম্ভিত পুলিশও। তাদের হাতের এমন নিখুঁত কাজ যে দিনের পর দিন গোপনে কুকীর্তি চালালেও কেউ বুঝতে পারেনি।

পটনা: শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক, কখনও মধুর, কখনও আবার তিক্ত। নানান গল্প শোনা যায় শাশুড়ি-বৌমার জুটি নিয়ে। এবার শাশুড়ি-বৌমা জুটির এমন এক কাণ্ড সামনে এল যাতে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, স্তম্ভিত পুলিশও। তাদের হাতের এমন নিখুঁত কাজ যে দিনের পর দিন গোপনে কুকীর্তি চালালেও কেউ বুঝতে পারেনি।
কী করত শাশুড়ি-বৌমা? সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা হাতিয়ে নিত। চুরি-ছিনতাইয়েও হাত পাকিয়েছিল তাঁরা। তবে এমনভাবেই তাঁরা চুরি করত যে কারোর কোনওদিন সন্দেহই হয়নি।
ঘটনাটি বিহারের। সম্প্রতিই কাইমুর জেলার বাসিন্দা বিন্দু দেবী নামক এক মহিলার সোনা-রুপোর গহনা চুরি হয়। তিনি ই-রিকশায় চেপে ফিরছিলেন, সেই সময়ই চুরি হয়। পুলিশে অভিযোগ জানালে, তদন্ত শুরু হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, রিক্সা চালকের সঙ্গে দুই মহিলা মিলে আক্রান্ত ওই মহিলার থেকে সোনা ও রুপোর গহনা ছিনতাই করছে। পুলিশ প্রথমে ওই রিক্সাচালককে আটক করে। পরে তাদের থেকে অভিযুক্ত দুই মহিলার হদিস পায়।
অভিযুুক্ত দুই মহিলার নাম জিরামুনি দেবী ও জ্যোতি দেবী। সম্পর্কে তাঁরা শাশুড়ি-বৌমা। বাড়িতে তল্লাশি চালালে তাদের কাছ থেকে ১০০ গ্রামেরও বেশি ওজনের সোনার গহনা এবং প্রায় ৩ কেজি ২০০ গ্রামের রুপোর গহনা পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া সোনার দাম আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা এবং রুপোর দাম ৩.২৫ লক্ষ টাকা। এছাড়াও পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৪১ হাজার ৮৬৬ টাকা নগদ ও বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছে।
জেরায় জানা গিয়েছে, শাশুড়ি-বৌমা মিলে সাধারণ মানুষদের নানাভাবে প্রতারিত করত। গহনা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী চুরি করত। তারপর গহনার দোকানে গিয়ে সেই চুরির গহনা বিক্রি করে দিত। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আশেপাশের গহনার দোকানের মালিকদেরও তলব করা হয়েছে।





