AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Singham Movie: ‘সিংহম’-এর মতো ছবি সমাজে বিপজ্জনক বার্তা দেয়: হাইকোর্টের বিচারপতি

Singham Movie: বিচারপতির কথায়, 'একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত পালাতে গিয়ে যখন পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায়, মানুষ তাকে শুধু সমর্থনই করে না, রীতিমতো বাহবাও দেয়। তারা মনে করে, ন্যয়বিচার মিলেছে। কিন্তু এভাবে কি আদৌ ন্যয়বিচার মেলে?'

Singham Movie: 'সিংহম'-এর মতো ছবি সমাজে বিপজ্জনক বার্তা দেয়: হাইকোর্টের বিচারপতি
সিংহম ছবির দৃশ্যImage Credit: twitter
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2023 | 7:29 AM
Share

মুম্বই: বলিউড হোক বা টলিউড, দাপুটে ‘সুপারকপ’ এখন ট্রেন্ড। সমাজের সব অন্যায় একেবারে নিজে হাতে ধুয়ে-মুছে সাফ করে দেবে পুলিশ, এটা দেখতে পছন্দই করে মানুষ। কিন্তু বাস্তবে সেই সব গল্প কেমন প্রভাব ফেলে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি গৌতম পটেল। তাঁর মতে, পুলিশ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে, এটা সিনেমায় দেখতে ভাল লাগলেও সমাজে খুব বিপজ্জনক বার্তা দেয়। এই প্রসঙ্গে অজয় দেবগন অভিনীত সিংহম ছবির উদাহরণ উল্লেখ করেন তিনি। আইনের প্রক্রিয়ায় মানুষের ধৈর্যচ্যুতি কেন ঘটছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

ইন্ডিয়ান পুলিশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ও বিচারপতি বলেন, “পুলিশকে মানুষ দুর্নীতিপরায়ণ বলেই মনে করে থাকে। শুধু পুলিশ নয়, বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা বা সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও এটা সত্যি। মানুষ যখন ভাবতে শুরু করে যে আইন-আদালত কাজ করছে না, তখন পুলিশের হস্তক্ষেপকে মানুষ সাদরে গ্রহণ করে।” তাঁর কথায়, একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত পালাতে গিয়ে যখন পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায়, মানুষ তাকে শুধু সমর্থনই করে না, রীতিমতো বাহবাও দেয়। তারা মনে করে, ন্যয়বিচার মিলেছে। কিন্তু এভাবে কি আদৌ ন্যয়বিচার মেলে? সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিচারপতি।

বিচারপতি উল্লেখ করেন, সিনেমায় যখন পুলিশ নায়ক, তখন একজন বিচারপতিকে ভীতু, বিনয়ী, চশমা পরা চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়, যে ন্যয়বিচার দিতে ব্যর্থ। আর সেখানে পুলিশ নিজের হাতে তুলে নেয় আইন। সিংহম ছবির একটি দৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি যেখানে প্রকাশ রাজ অভিনীত রাজনৈতিক নেতাকে কীভাবে পুলিশ শাস্তি দিচ্ছে, তা দেখানো হয়েছে। কিন্তু এই বার্তা সমাজের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করছেন তিনি।

বিচারপতি গৌতম পটেল উল্লেখ করেন, আইনি প্রক্রিয়া ঠিক করবে, কে অপরাধী আর কে নয়। হতে পারে সেই প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ কারণ অভিযুক্তের অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে শর্টকাট ব্যবহার করা উচিত নয় বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।