Abduction: শারীরিক সম্পর্ক হলেই টাকা! না দিতে পারায় ব্যবসায়ীকে নগ্ন করে ঘোরালেন প্রেমিকা!

Mumbai: দাবি মতো টাকা না পেয়ে দুই বাউন্সারকে ভাড়া করেন ওই যুবতী। তার পর ওই ব্যবসায়ীকে তাঁর অফিস থেকে অপহরণ করেন।

Abduction: শারীরিক সম্পর্ক হলেই টাকা! না দিতে পারায় ব্যবসায়ীকে নগ্ন করে ঘোরালেন প্রেমিকা!
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 2:05 PM

মুম্বই: এক ব্যবসায়ীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন ২২ বছরের এক যুবতীর সঙ্গে। প্রায়শই তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হত। বেশ কয়েক মাস ধরেই এ রকম চলছিল। অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ীর থেকে প্রায়শই টাকা চাইতেন ওই যুবতী। তা দিতেও ওই ব্যবসায়ী। সম্প্রতি ওই যুবতী ব্যবসায়ীর থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তা দিতে রাজি ছিলেন না ওই ব্যবসায়ী। তখন ওই যুবতীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকেন। দাবি মতো টাকা না পেয়ে দুই বাউন্সারকে ভাড়া করেন ওই যুবতী। তার পর ওই ব্যবসায়ীকে তাঁর অফিস থেকে অপহরণ করেন। মারধর করে নগ্ন করে দেন বলেও অভিযোগ। তার পর তাঁকে নিয়ে ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রাখেন। বেশ কিছু টাকা, সোনার গয়না দিয়ে প্রেমিকার হাত থেকে মুক্ত হন ওই ব্যবসায়ী। তার পরই বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে।

পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ীকে অপরহণে অভিযুক্ত যুবতীর নাম সঞ্জনা রাঠোর (২২)। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করা দুই বাউন্সার হলেন অজয় যাদব (২৭) ও ফোরেমান সাইনি (২৩)। এই তিন জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ধারাভি থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম এস গায়কোয়াড। তিনি মুম্বইয়ের দোম্বিভলির বাসিন্দা। তাঁর একটি কারখানা আছে। যেখানে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লেবেল তৈরি করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জনা ওই ব্যবসায়ীর থেকে সম্প্রতি ৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যবসায়ী তা দেননি এবং সঞ্জনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। বিভিন্ন নম্বর থেকে ব্যবসায়ীকে ফোন করে টাকা দেওয়ার জন্য যুবতী চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। ১৮ জুলাই দুই বাউন্সারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ীর অফিসে আসেন সঞ্জনা। সেখনে ব্যবসায়ীকে মারধর করে তুলে নিয়ে যান ঠাণের একটি ফ্ল্য়াটে।

ওই ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছে, সেখানে তাঁকে নগ্ন করে রাখার পাশাপাশি মারধর করেছে তিন জন। একটি একটি এটিএমে গিয়ে তাঁদেরকে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। চোখ বেঁধে তাঁকে এটিএমে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর এক দিন ব্যবসায়ীর বাড়িতেই তাঁকে নিয়ে যায় ওই তিন জন। সে সময় বাড়িতে ছিলেন না ব্যবসায়ীর স্ত্রী। তখন বাড়ির আলমারি থেকে ২ লক্ষ টাকা নগদ এবং সোনার গয়না নিয়ে অভিযুক্তদের দেন ওই ব্যবসায়ী। পাশাপাশি বাকি টাকাও সঞ্জনাকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর ২ দিন পর তাঁকে ফেলে রেখে ওই তিন জন পালিয়ে যায় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। তার পরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।