Muslim Priest: সম্প্রীতির গ্রাম, এই হনুমান মন্দিরে দেড়শো বছর ধরে নিত্যপুজো করেন মুসলিমরা
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে জাতি, ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে সব গ্রামবাসী মন্দিরে হোম, গজল নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। এমনকি মুসলিমদের উৎসবেও গ্রামের সমস্ত মানুষ যোগ দেন।

কোরিকাপ্পা: উত্তর কর্নাটকের ছোট্ট গ্রাম। সেই গ্রামের হনুমান মন্দির দেখিয়ে দেয় হিন্দু ও মুসলমানের পারস্পরিক সহাবস্থানের চিত্র। কর্নাটকের লক্ষমেশ্বরা জেলার কোরিকোপ্পা গ্রামের রয়েছে একটি হনুমান মন্দির। সেই সেই মন্দিরের নিত্যপুজো গত ১৫০ বছর ধরে করছেন মুসলিম পুরোহিতরা। রোজ মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকেই পুজো-আতরি করেন মুসলিম পুরোহিত।
কোরিকোপ্পা গ্রামে ঢোকার মুখেই রয়েছে রয়েছে একটি হনুমান মন্দির। বহুকাল আগে কলেরা এবং প্লেগ রোগের ভয়ে সেই গ্রাম ছেড়ে অনেকে চলে গিয়েছিলেন। তখন মন্দিরে পুজো করার কেউ ছিল না। বাদনি গ্রামের কয়েক জন মুসলিম পরিবার যদিও থেকে গিয়েছিলেন। তাঁরাই সে সময় হনুমান মন্দিরের পুজো শুরু করেন। তখন থেকেই সেই প্রথাই চলে আসছে।
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে জাতি, ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে সব গ্রামবাসী মন্দিরে হোম, গজল নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। এমনকি মুসলিমদের উৎসবেও গ্রামের সমস্ত মানুষ যোগ দেন।
ওই এলাকার দুই বাসিন্দা জানিয়েছেন, মুসলিম পুরোহিত রোজ হনুমান মন্দিরে পুজো করেন। এই আরতি দেখতে হিন্দু ও জৈন সম্প্রদায়ের মানুষও আসেন। কোরিকোপ্পা গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আন্দারাকাট্টি-কোন্দিকোপ্পা রোড সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যন্য ভূমি। এই রাস্তার আশপাশের সমস্ত গ্রামেই দুই ধর্মের মানুষ এক অপরের পাশাপাশিই বাস করে না, সেই সঙ্গে একে অপরের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়া এবং উৎসবে যোগ দিয়ে থাকেন। চারিদিকে এত হানাহানির মধ্যেই দীর্ঘ দিন ধরে স্বপ্ন দেখাচ্ছে কর্নাটকের এই গ্রামগুলি।
