PM Narendra Modi: আমেরিকা থেকে ভোপাল, শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায় মোদীর বক্তৃতা
সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার ব্যাপারেও বিভিন্ন সময় নজর কেড়েছেন মোদী। বিভিন্ন সময় তাঁর কথায় ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বৈচিত্রের কথা উঠে এসেছে। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে দুদেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের কথাও তুলে ধরেছিলেন মোদী।
ভোপাল: মেরা বুথ সবসে মজবুত কর্মসূচির অধীনে মধ্য প্রদেশের ভোপালে একটি কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। প্রায় দেড় ঘণ্টার বক্তৃতায় মোদীর মুখে উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রসঙ্গ। দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি সাম্প্রতিক আমেরিকার সফরেও প্রসঙ্গেও তোলেন মোদী। পাশাপাশি আমেরিকা সফরের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে রসিক মন্তব্যও শোনা গিয়েছে মোদীর বক্তৃতায়।
আমেরিকার সফরে গিয়ে প্রংশসিত হয়েছেন মোদী। অনেকে মনে করেন বিদেশের মাটিতে মোদীর প্রশংসিত হওয়া তাঁকে নির্বাচন জিতিয়ে দেবে না। কিন্তু তাঁরা ভুলে গিয়েছে দেশের মানুষ মোদীকে ২ বার নির্বাচিত করেছেন তাঁর কঠোর পরিশ্রমের জন্য। এমনকি মোদীর বাচন ভঙ্গি এবং মানুষের হৃদয় জেতার ক্ষমতা প্রশ্নাতীত। মার্কিন সফরেও সেই বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ সেশনে মোদী ‘আমেরিকান ড্রিম’-এর বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। যা আমেরিকা সফরের অন্যতম ইউএসপি ছিল। তাঁর বক্তব্যের ব্যাপকতা আমেরিকানদেরও মন জয় করেছে।
সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার ব্যাপারেও বিভিন্ন সময় নজর কেড়েছেন মোদী। বিভিন্ন সময় তাঁর কথায় ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বৈচিত্রের কথা উঠে এসেছে। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে দুদেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের কথাও তুলে ধরেছিলেন মোদী।
৯ বছরের শাসনকালে বিভিন্ন ভাষায় বক্তৃতা দিতে দেখা গিয়েছে। যা তাঁকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে জুড়তে সাহায্য করেছে। হিন্দি, ইংরেজির পাশাপাশি অনেক আঞ্চলিক ভাষায় বিভিন্ন সময় বক্তৃতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকায় তিনি যেমন সাবলীল ইংরেজি বলেছেন, তেমনই ভোপালের কর্মিসভায় হিন্দিতে বক্তব্য রেখেছেন। এর পাশাপাশি মোদীর বক্তব্যে অনুপ্রেরণা মূলক কথা অনেক ক্ষেত্রেই শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। যেমন আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ১৪০ কোটি ভারতীয়র প্রতিনিধিত্বের সুর উঠে এসেছিল তাঁর বক্তব্য। আবার ভোপালের কর্মিসভায় বিজেপি কর্মীদের প্রথমে সমাজকর্মী ও পরে পার্টিকর্মী হতে নির্দেশ দিয়েছেন। তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগসূত্রে গড়ে তুলতে মোদীর তুলনা হয় না।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন মোদী। তাঁর কমিউনিকেশন স্কিল সত্যিই অবাক করার মতো। আমেরিকায় গিয়ে তিনি গ্লোবাল লিডারের ভূমিকা পালন করলেন। ভোপালে তাঁকে দেখা গেল দলের নেতার ভূমিকায়। দুই স্থানেই তিনি সমান স্বচ্ছন্দ। আবার বক্তৃতা করার সময় তাঁর মতো রসিকতা করতে জুড়ি মেলা ভার। এর উদাহরণ দিয়ে বলা যায় আমেরিকা সফরে মোদী বলেছেন, “গত কয়েক বছরে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) দারুণ উন্নতি করেছে। অপর এক এআই(আমেরিকা ইন্ডিয়া) আগামী দিনে দারুণ উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।” একই রকম ভাবে ভোপালে বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেছেন, “তুষ্টিকরণ নয়, সন্তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে হবে।”