NDA meeting: নীতীশ-চন্দ্রবাবুর কী চাই, কত বড় মূল্য দিতে হবে মোদীকে?
NDA meeting: এবার নরেন্দ্র মোদীকে সরকার চালানোর জন্য নির্ভর করতে হবে শরিক দলগুলির উপর। চালকের আসনে চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমার,

নয়া দিল্লি: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল চমকে দিয়েছে বহু মানুষকে। মোদীর ক্ষমতায় ফেরা প্রায় নিশ্চিত। তবে, এবার তাঁকে সরকার চালানোর জন্য নির্ভর করতে হবে শরিক দলগুলির উপর। ২০১৪ বা ২০১৯-এ এই বাধ্যবাধকতা ছিল না তাঁর। শরিকদের সমর্থন ছাড়াই সরকার গঠনের মতো অবস্থায় ছিল বিজেপি। এবার সেই নিরঙ্কুশ সমর্থন আসেনি। তাই ফের জোট শরিকদের গুরুত্ব বেড়েছে। বিশেষ করে ১৬ আসন জেতা টিডিপি এবং ১২ আসন জেতা জেডিইউ-কে সঙ্গে না রাখলে সরকার গঠনই সম্ভব নয় বিজেপির পক্ষে। কাজেই, শরিক দলগুলিও দরদাম করার মতো জায়গায় এসে গিয়েছে।
বুধবার (৫ জুন), বিকেলে এনডিএ শরিকদের এক সভা হয়েছে। এই সভায় শরিকরা কে কী দাবি জানিয়েছেন, তা জানা যায়নি। গোপন রাখা হয়েছে এনডিএ-র পক্ষ থেকে। বৈঠকে এনডিএ শরিকরা জোটের নেতৃত্বে বিজেপিকেই বেছে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তাদের পছন্দ নরেন্দ্র মোদীই। বার্তা দিয়েছেন তাঁরা এনডিএ জোটেই থাকবেন। তবে সূত্রের খবর, বৈঠকে তাঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়াও পেশ করেছেন এনডিএ শরিকরা। বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে, এনডিএ-র শরিক দলগুলির কে কী দাবি জানালেন? শরিকদের সঙ্গে রাখতে কী মূল্য দিতে হচ্ছে বিজেপিকে?
সূত্রের খবর, এনডিএ জোটের দ্বিতীয় শক্তিশালী দল, চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি, কেন্দ্রীয় সরকারে মোট ৫টি পদের দাবি জানিয়েছে। লোকসভার অধ্যক্ষের পদটি তাঁর দলের জন্য চেয়েছেন চন্দ্রবাবু। এছাড়াও, আরও ৪টি মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। পাশাপাশি, আরও ২টি দফতরের প্রতিমন্ত্রীর পদ দাবি করেছেন তিনি।
এই চাপ দেওয়ার রাজনীতি শুধু চন্দ্রবাবু নাইডুই করছেন না। সূত্রের খবর, বিজেপির কাছে নিজ নিজ দাবি জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার এবং এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ানও। কী চান নীতিশ কুমার? জানা গিয়েছে, নীতিশ প্রথমেই চান যেন বিহারের সরকারকে কোনোভাবে বিরক্ত না করা হয়। অন্তত ২০২৬ পর্যন্ত তাঁকে নির্বিঘ্নে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে দিতে হবে। এছাড়া, চন্দ্রবাবুর মতো নীতীশ কুমারও লোকসভার অধ্যক্ষের পদের দাবি জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, এছাড়া, এক-দুইজন পূর্ণমন্ত্রী এবং অন্তত দুটি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর পদও চান তিনি। নজরে রয়েছে রেল, গ্রামোন্নয়ন এবং জলশক্তি মন্ত্রকের দিকে। এছাড়া তাদের পছন্দ পরিবহন এবং কৃষিও।
বিহারের ৫টি আসনে লড়ে ৫টিতেই জয়ী হয়েছেন চিরাগ পাসওয়ান। তিনিও এবার মন্ত্রিত্ব চান বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিন দলই এনডিএ-তে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, রাজনীতির রঙ বদলাতে বেশি সময় লাগে না। ইন্ডিয়া জোটও তলে তলে যোগাযোগ রাখছে এনডিএ শরিকদের সঙ্গে। এই দলগুলিকে এনডিএ থেকে ভাঙিয়ে ইন্ডিয়াতে সামিল করতে আগ্রহী তারা। তার জন্য ইন্ডিয়ার দিক থেকেও প্রচেষ্টা চলছে। শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটাই দেখার।





