AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফের রূপ বদলে ফেলল করোনা! তৃতীয় ঢেউয়ের আগে দেশে নয়া স্ট্রেন ‘ডেল্টা প্লাস’, কতটা ভয়ঙ্কর?

দিল্লির সিএসআইর ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়া টুইট করে জানিয়েছেন, নয়া এই স্ট্রেন বি.১.৬১৭.২.১ পরিলক্ষিত হয়েছে।

ফের রূপ বদলে ফেলল করোনা! তৃতীয় ঢেউয়ের আগে দেশে নয়া স্ট্রেন 'ডেল্টা প্লাস', কতটা ভয়ঙ্কর?
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jun 15, 2021 | 3:06 PM
Share

নয়া দিল্লি: বিশেষজ্ঞদের একাংশ এখনও দাবি করেন, দেশে করোনার (COVID) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বড় প্রভাব ছিল অতি সংক্রামক বি.১.৬১৭ স্ট্রেনের। এ বার সেই স্ট্রেনেরই ফের রূপবদল। রূপ বদলেছে ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই স্ট্রেনের নাম দিয়েছিল ডেল্টা। স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন করে সেই স্ট্রেনই এখন ‘ডেল্টা প্লাস।’ জিনোম সিকোয়েন্সিয়ে দেখা গিয়েছে, কে৪১৭এন মিউটেশন হয়েছে ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের। তবে এই স্ট্রেনকে এখনও উদ্বেগজনক বলছেন না বিজ্ঞানীরা।

দিল্লির সিএসআইর ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়া টুইট করে জানিয়েছেন, নয়া এই স্ট্রেন বি.১.৬১৭.২.১ পরিলক্ষিত হয়েছে। তাঁর দাবি মিউটেশনের ফলে মানবদেহে প্রবেশের পথ আরও সুগম করেছে এই ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। সংস্থা জানিয়েছে ৭ জুন পর্যন্ত ৬ জিনোমে এই স্ট্রেন দেখা গিয়েছে। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আপাতত ৬৩ জিনোমে ডেল্টার এই নয়া মিউটেশন ধরা পড়েছে।

বিনোদ জানিয়েছেন, ইউরোপ, আমেরিকায় প্রভাব বিস্তার করলেও আপাতত ভারতে দ্রুত ছড়াতে শুরু করেনি এই স্ট্রেন। তবে চিন্তার বিষয়, এই স্ট্রেনের কাছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি রুখে দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে পারে। অর্থাৎ অ্যান্টিবডি ককটেলকে আটকে দিতে পারে এই নয়া স্ট্রেন। কয়েকদিন আগেই অনুমোদন পেয়েছে অ্যান্টিবডি ককটেল। এ বার সেই ককটেলের কার্যকরিতা রুখে দিতে পারলে চিন্তা আরও বাড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এই নয়া স্ট্রেন অধিক সংক্রামক কি না তা এখনও জানা যায়নি। তবে আপাতত উদ্বেগজনক কিছু দেখছেন না সিএসআইর ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির ডিরেক্টর অনুরাগ আগরওয়াল।

আরও পড়ুন: প্রথম ভ্যাকসিন নিয়ে মৃত্যুর ঘটনা দেশে, সরকারি প্যানেলের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট