AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাংলায় নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ১০, কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াচ্ছে ১৮ টি রাজ্য

অনেক ক্ষেত্রে এই সব স্ট্রেনে ভ্যাকসিন (Vaccine) কার্যকর হচ্ছে না বলেও দাবি করছেন গবেষকরা। তাই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ।

বাংলায় নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ১০, কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াচ্ছে ১৮ টি রাজ্য
নতুন স্ট্রেনে বাড়ছে উদ্বেগ
| Updated on: Mar 24, 2021 | 6:52 PM
Share

নয়া দিল্লি: দেশ জুড়ে যখন দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা, তার মধ্যেই নতুন ভ্যারিয়্যান্টের (New Variant) খোঁজ নিয়ে আশঙ্কা বাড়াল কেন্দ্র। দেশের একাধিক রাজ্যে কোভিড-১৯ (COVID19) ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও (West Bengal)। এ রাজ্যে অন্তত ১০ জনের শরীরে নতুন স্ট্রেনের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan)।

দেশের মোট ১৮ টি রাজ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ১০, পাঞ্জাবে ৩৬, তেলঙ্গানায় ৮৭, দিল্লিতে ৬৫, মহারাষ্ট্রে ৫৬, গুজরাটে ৩৯, কর্ণাটকে ৩০, রাজস্থানে ২২, অন্ধ্র প্রদেশে ১৭, গোয়ায় ৫, হরিয়ানায় ৬, কেরলে ১৬, মধ্য প্রদেশে ১১, ওড়িশায় ৩, তামিলনাড়ুতে ১৪, উত্তরপ্রদেশে ১৭, উত্তরাখণ্ডে ১ জনের শরীরে নয়া স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে।

ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকার, ইউকে-তে এই নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল। এগুলি আগের থেকে অনেল বেশি সংক্রামক বলে দাবি গবেষকদের। তাই ভারতে এই সব স্ট্রেনের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এই সব স্ট্রেনে ভ্যাকসিন কার্যকর হচ্ছে না বলেও দাবি করছেন গবেষকরা।

মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ৮ জনের দেহে মিলেছিল করোনা রব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন। বুধবার কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেই সংখ্যা ১০। মঙ্গলবার পর্যন্ত যে ৮ জনের দেহে নতুন স্ট্রেন মিলেছিল, তার মধ্যে পাঁচ জনের শরীরে ইউকে, ও বাকি তিনজনের শরীরে দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

ডিসেম্বরের পরই গবেষকদের নজরে এসেছিল মহারাষ্ট্রের দু’টি নতুন মিউটেশন। এগুলি হল E484Q এবং L452R। দু’টি মিউটেশনই অতি সংক্রামক, যা ভ্যাকসিনকেও ফাঁকি দিতে পারে। অন্তত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নমুনায় এই মিউটেশনের অস্তিত্ব পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগে যে ক’টি “ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন” নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তাতে এই মিউটেশন দেখা যায়নি।

এ দিন কেন্দ্রে তরফে স্বাস্থ্য সচিব আরও জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার সময় পরিবর্তন হয়নি। এছাড়া মঙ্গলবারই জানানো হয়েছে, আর কো-মর্বিডিটির গেরো নয়। ৪৫ বছরের বেশি বয়সী প্রত্যেকেই পাবেন ভ্যাকসিন।দেশে বাড়তি করোনায় রাশ টানতেই এই ঘোষণা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্র জানিয়েছে, ১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নতুন সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন: ব্রিটেনের মতো ভারতেও করোনার ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ, কেন্দ্রের খবরে কতটা বাড়ল দুশ্চিন্তা?

এতদিন পর্যন্ত ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সী কো-মর্বিডিটি যুক্তদের করোনা টিকা দিচ্ছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দ্বিতীয় দফার এই করোনা টিকাকরণ কর্মসূচির মাঝেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে করোনা টিকা পাবেন ৪৫ উর্ধ্ব প্রত্যেকে।