AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bride: পাঁচতারা হোটেলে বিয়ের আসর, ফোটোগ্রাফারদের খাওয়াতে অস্বীকার NRI পাত্রীর, বললেন…

Bride: ওই বিয়ের জন্য ফোটোগ্রাফারদের যে টিম গিয়েছিল, গুগল রিভিউয়ে ওয়ান স্টার দিয়ে পাত্রী লিখেছেন, "২০২৫ সালে বিয়ের খরচ অনেক। যাঁরা বিয়েতে কাজের জন্য আসেন, তাঁদের বোঝা উচিত তাঁরা এখানে কাজের জন্য এসেছেন। অতিথির মতো আনন্দ করতে নয়।"

Bride: পাঁচতারা হোটেলে বিয়ের আসর, ফোটোগ্রাফারদের খাওয়াতে অস্বীকার NRI পাত্রীর, বললেন...
প্রতীকী ছবিImage Credit: Meta AI
| Updated on: Aug 24, 2025 | 5:19 PM
Share

নয়াদিল্লি: পাঁচতারা হোটেলে ধুমধাম করে বিয়ে হচ্ছে। ৭-৮ জন ফোটোগ্রাফার ছবি-ভিডিয়ো তুলতে ব্যস্ত। কিন্তু, তাঁদের খাবারের কথা উঠতেই রেগে গেলেন অনাবাসী ভারতীয় পাত্রী। অতিথিদের মতো পাঁচতারা ওই হোটেলে ফোটোগ্রাফারদের খেতে দিতে রাজি নন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ফোটোগ্রাফারদের খাওয়াতে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করতে রাজি নন। এখানেই শেষ নয়, ফোটোগ্রাফাররা বাইরে থেকে খাবার এনে খাওয়ার জন্য এক ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন। সেই সময়ও দিতে রাজি হননি তিনি। ঘটনাটি নয়াদিল্লির।

অনাবাসী ওই ভারতীয় পাত্রী কর্মসূত্রে থাকেন আমেরিকায়। বিয়ের জন্য এসেছেন দিল্লিতে। রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে বিয়ের আসর বসেছিল। সেখানেই ৭-৮ জন ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা বাধে বলে জানা গিয়েছে। ফোটোগ্রাফাররা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ওই বিয়ের আসরেই খেয়ে নেবেন। তাতে বাধা দেন পাত্রী। ওই বিয়ের জন্য ফোটোগ্রাফারদের যে টিম গিয়েছিল, গুগল রিভিউয়ে ওয়ান স্টার দিয়ে পাত্রী লিখেছেন, “২০২৫ সালে বিয়ের খরচ অনেক। যাঁরা বিয়েতে কাজের জন্য আসেন, তাঁদের বোঝা উচিত তাঁরা এখানে কাজের জন্য এসেছেন। অতিথির মতো আনন্দ করতে নয়।” এখানেই না থেমে তিনি আরও লেখেন, “পাঁচতারা হোটেলে বিয়ের আসরে প্রত্যেক প্লেট খাবারের দাম ৬ হাজার টাকার বেশি। সেখানে ৭-৮ জন অতিরিক্ত অতিথির খরচ বহন করা সম্ভব নয়। সবমিলিয়ে অযৌক্তিক কারণে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হবে।”

ফোটোগ্রাফি সার্ভিসের বিজনেস হেড রিচা ওবেরয় একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফোটোগ্রাফাররা খাবার ভাগ করে খাওয়ার কথা বলেছিলেন। তাতেও রাজি হননি পাত্রী। শেষে ফোটোগ্রাফাররা বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে আনার সিদ্ধান্ত নেন। প্রত্যেক ফোটোগ্রাফার খাবার খাওয়ার জন্য এক ঘণ্টা ছুটি চান। তাতেও আপত্তি জানান পাত্রী। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে বিকেল ৪টার পর মধ্যাহ্নভোজ করতে বলেন ফোটোগ্রাফারদের। আবার রাত ৮টার আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে বলেন। যাতে সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের ছবি তোলার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয়।

রিচা ওবেরয় ওই পাত্রীর এই বক্তব্যের নিন্দা করে বলেন, “আপনি কাউকে বলে দিতে পারেন না, তিনি কখন খাবেন। আমরা বলিনি, আমাদের পরিবারের লোকজন ভাবুন। কিংবা অতিথির মতো ব্যবহার করুন। কিন্তু, আমাদের অদৃশ্য শ্রমিক ভাববেন না।” বিয়ের আগে সমস্ত টাকাপয়সা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানান ফোটোগ্রাফাররা। তা নিয়েও পাত্রীর সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে।

ঘটনাটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পাত্রীর সমালোচনা করেছেন অনেকে। আবার পাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে একজন লিখেছেন, “আপনি বিয়েবাড়িতে আপনার কাজ করতে গিয়েছেন। সেখানে ব্রেকের কথা বলা থাকে না। আর বিয়েতে ফোটোগ্রাফির খরচ এমনিতেই বেশি। তার উপর অতিরিক্ত ১০ জনকে খাওয়ানো যথেষ্ট ব্যয়বহুল।”