Opposition Parties: বালেশ্বর দুর্ঘটনার উদ্ধারকাজে তৎপর কেন্দ্র, সমালোচনায় এক ‘রা’ বিরোধীরা

Opposition Parties on Coromandel Express Accident: সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ফেসবুক পোস্টে লেখেন, "যারা নিজেদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। যদি রেলমন্ত্রীর মধ্যে একটুও বিবেক থাকে, তবে এখনই ইস্তফা দেওয়া উচিত।"

Opposition Parties: বালেশ্বর দুর্ঘটনার উদ্ধারকাজে তৎপর কেন্দ্র, সমালোচনায় এক 'রা' বিরোধীরা
রেলমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব বিরোধীরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2023 | 3:07 PM

নয়া দিল্লি: যে কোনও দুর্ঘটনাই ভয়ঙ্কর। কিন্তু শুক্রবার বালেশ্বরের কাছে যে পরপর তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা বীভৎস বললেও কম বলা হবে। শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express), হাওড়়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস (Howrah-Yashwantpur Express) ও মালগাড়ির (Goods Train) সংঘর্ষে এখনও অবধি ২৯৫ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত ৯০০-রও বেশি। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে আরও। দুর্ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব, রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব টুইট করে শোক প্রকাশ করেছিলেন। শনিবার সকালেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। সকাল থেকেই তিনি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী, যারাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছেন, তাঁদের সঙ্গেও ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এবং দুঘর্টনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তাদের জানান। কিন্তু এই বিপর্যয়ের মধ্য়েও শুরু হয়েছে রাজনীতি। বিভিন্ন বিরোধী দলের তরফে দুর্ঘটনার জন্য কেন্দ্রের সমালোচনা করে, রেলমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি করেছেন।

শুক্রবারের দুর্ঘটনার পরই বিরোধী দলগুলির তরফে দুর্ঘটনার কারণ, সিগনালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি, রেলের ভূমিকা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শুক্রবারই তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় অভিযোগ করেন যে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস ব্য়বহার না করে, কেন্দ্র কোটি কোটি টাকা বিরোধীদের উপরে নজরদারি করতে খরচ করছে।  কেন্দ্র বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও নতুন নতুন রেল স্টেশন তৈরি করে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করছে। তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “যারা নিজেদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। যদি রেলমন্ত্রীর মধ্যে একটুও বিবেক থাকে, তবে এখনই ইস্তফা দেওয়া উচিত।”

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেন, “রেল নেটওয়ার্কে সুরক্ষা কেন সবথেকে বেশি জরুরি, তাই আবার উঠে আসল। এই দুর্ঘটনা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। তবে আমরা আগামিকাল অবধি অপেক্ষা করব এই প্রশ্নগুলি করার জন্য।”

অন্যদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে ফুঁসে ওঠেন লালু প্রসাদ যাদব। তিনি বলেন, “যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার গাফিলতি দেখিয়েছে এবং সঠিক সময়ে সতর্ক করেনি, তার ফলেই এত বড় বিপর্যয় ঘটেছে। এই দুর্ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা উচিত এবং যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। অত্যন্ত বড় গাফিলতি, ওরা রেলওয়েকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়ে সিপিআই(এমএল)-র সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যও ভারতীয় রেলের সিগনালিং ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি টুইটে বলেন, “ভারতীয় রেলওয়েতে কী আর সিগনালিং ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই? নাকি এই ধরনের দুর্ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে? যারা নিজেদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাদের কাছে আমরা উত্তর দিতে বাধ্য”। সিপিআই-র সাংসদ বিনয় বিশ্বমও রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণবের ইস্তফার দাবি করেন।