Anubrata Mondal: আরও ১১ দিন ED হেফাজতে অনুব্রত, বাংলাদেশ-যোগের কথা আদালতে বলল তদন্তকারী সংস্থা
Anubrata Mondal: আগামী ১১ দিনে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মোট ১২ জনকে তলব করা হয়েছে ইডি দফতরে।
নয়া দিল্লি : এক ঘণ্টার টানটান শুনানি শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ফের ইডি (ED) হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। আরও ১১ দিন হেফাজতে রেখে জেরা করতে পারবেন ইডি-র তদন্তকারীরা। অভিযুক্তের অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের টাকা গিয়েছে বলে এদিন আদালতে দাবি করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, গোয়েন্দাদের দাবি, এই মামলার অনেক অভিযুক্ত বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে। এমনকী মামলার সঙ্গে যুক্ত নথিও দেশের বাইরে গিয়ে থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেছে ইডি। এদিন অনুব্রতর তরফে জামিনের আর্জি না জানানো হলেও, তাঁর আইনজীবী উল্লেখ করেছেন অত্যন্ত ধীরগতিতে জেরা করা হচ্ছে। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর অনুব্রতর কিছু বলার আছে কি না তাও জানতে চেয়েছিলেন বিচারক রঘুবীর সিং। শুনানি শেষে ইডি-র আর্জি মেনে ১১ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন ইডির তরফে স্পষ্ট দাবি করা হয়, তদন্তে বাংলাদেশ লিঙ্ক উঠে এসেছে। তাদের দাবি, পিএমএলএ আইন নথির ওপর নির্ভর করে। সেই নথি নষ্ট হয়ে থাকতে পারে, পোড়ানো হতে পারে, অন্য দেশে পাঠানো হতে পারে। তাই আরও গভীরে তদন্তের জন্য ১১ দিন হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগের শুনানিতে বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, হেফাজতে থাকাকালীন প্রতিদিন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তাঁর আইনজীবীরা। এছাড়া জেরার সময়ও উপস্থিত থাকতে পারবেন তাঁরা। শুক্রবার আদালতে আইনজীবীরা জানান, তাঁদের মক্কেলের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হলেও, সেখানে রাখা হচ্ছে সিসিটিভি। এ কথা শুনে বিচারক তদন্তকারী অফিসারদের কাছে জানতে চান, এরকমটা হচ্ছে কি না। ইডি জানায়, এ বিষয়টা নিশ্চয় দেখা হবে।
উল্লেখ্য, এদিন আদালতে ইডি জানিয়েছে, আগামী ১১ দিনে ১২ জনকে তলব করা হচ্ছে। তাঁদের অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। সেই ১২ জনের মধ্যে অনুব্রত-কন্যা ছাড়াও রয়েছেন তাঁদের হিসাব রক্ষকও। গরু পাচার কীভাবে হত, পাচারের টাকা কার কাছে যেত? এসব খুঁজে বের করতে তদন্তে গতি বাড়াতে চাইছে ইডি।