Pahalgam Attack: ভয়ে গাছে উঠে গিয়েছিলেন ফটোগ্রাফার, লুকিয়ে ভিডিয়ো করেছিলেন গোটাটা! পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার চাঞ্চল্যকর ফুটেজ NIA-এর হাতে
Pahalgam Attack: টুরিস্ট স্পটে ফটোগ্রাফার থাকেই। বৈসরণ ভ্যালিতেও পর্যটকদের ছবি, ভিডিয়ো তুলে দেওয়ার জন্য এরকম প্রচুর ফটোগ্রাফার ছিলেন। সেরকমই একজন ফটোগ্রাফার সেদিন বৈসরণ ভ্যালিতে ছিলেন। জঙ্গি হামলার মুহূর্তে ওই রিসর্টের বাইরে ছিলেন তিনি।

কলকাতা: AK 47 ও M4 রাইফেল দিয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত দুদিনের মধ্যেই এনআইএ তদন্তকারীদের হাতে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। জঙ্গিরা চার জন ছিল, তাদের হাতে AK 47 ও M4 রাইফেল ছিল। কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে, যা ব্যালেস্টিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সর্বোপরি, গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।
টুরিস্ট স্পটে ফটোগ্রাফার থাকেই। বৈসরণ ভ্যালিতেও পর্যটকদের ছবি, ভিডিয়ো তুলে দেওয়ার জন্য এরকম প্রচুর ফটোগ্রাফার ছিলেন। সেরকমই একজন ফটোগ্রাফার সেদিন বৈসরণ ভ্যালিতে ছিলেন। জঙ্গি হামলার মুহূর্তে ওই রিসর্টের বাইরে ছিলেন তিনি। ভয়ে উঠে পড়েছিলেন গাছে। গাছের আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। গাছের আড়ালে থেকেই তিনি গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেছেন। কীভাবে পর্যটকদের ওপর গুলি চালিয়েছিল, কীভাবে হামলা হয়েছিল, সেই গোটা বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করেছেন ওই ফটোগ্রাফার। তদন্তকারীদের হাতে এসেছে সেই ভিডিয়ো। ইতিমধ্যে তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
চার জনের মধ্যে তিন জন জঙ্গি ছিল পাকিস্তানি। আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা। বৈসরণ ভ্যালিতে যাওয়ার আগে ২২ কিলোমিটার পথ ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এসেছিল জঙ্গিরা। তাদেরকে পথ দেখিয়েছিল সেই স্থানীয় বাসিন্দাই। ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক সেনা অফিসার তদন্তকারীদের কাছে গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে দুজন হামলা চালায়, তখন দুজন রিজার্ভে ছিল। তারা ‘স্ট্যান্ড বাই’ পজিশনে ছিল। তারপর চার জন একসঙ্গে হামলা চালায়। প্রথম থেকেই যেটা সামনে আসছিল, ধর্মীয় পরিচয় জেনে একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানো হয়।

