Bihar: জাতীয় পতাকাধারী চাকরি প্রার্থীকে বেধড়ক মার, ‘নীতীশ সরকার কি অন্ধ?’, প্রশ্ন বিজেপির

Bihar: সোমবার (২২ অগস্ট) শিক্ষক চাকরি প্রার্থীদের উপর নির্বিচারে লাঠি চালাতে দেখা গেল নীতীশ-তেজস্বী সরকারের পুলিশকে। হাতে থাকা জাতীয় পতাকাও বাঁচাতে পারল না। তীব্র নিন্দা বিজেপির।

Bihar: জাতীয় পতাকাধারী চাকরি প্রার্থীকে বেধড়ক মার, 'নীতীশ সরকার কি অন্ধ?', প্রশ্ন বিজেপির
ন্যায্য চাকরি প্রার্থীদের বেধড়ক মার পটনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (আইন শৃঙ্খলা) কেকে সিং-এর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 7:04 PM

পটনা: সোমবার (২২ অগস্ট) ফের চাপে পড়ল বিহারের নয়া সরকার। সরকার গঠনের আগে বারংবার কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলেছিলেন তেজস্বী যাদব। কিন্তু, সোমবার চাকরিপ্রার্থীদের উপরই নির্বিচারে লাঠি চালাতে দেখা গেল নীতীশ-তেজস্বী সরকারের পুলিশকে। এমনকি, এক ভাইরাল ভিডিয়োতে পটনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (আইন শৃঙ্খলা) কেকে সিং-কে দেখা গিয়েছে এক চাকরিপ্রার্থীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করতে। ওই ব্যক্তির হাতে দেশের জাতীয় পতাকাও ছিল। তা সত্ত্বেও তাকে রীতিমতো মাটিতে ফেলে হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে যান পটনার এডিএম। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নয়া সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি।

ঘটনাটি ঘটেছে পটনার ডাকবাংলো মোড়ে। এদিন, শয়ে শয়ে সিটেট (CTET) এবং বিটেট (BTET) পাস চাকরি প্রার্থীরা, সপ্তম পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন জন অধিকার পার্টির সদস্যরাও। ২০১৯ সালের পর থেকে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ডাকবাংলো মোড় থেকে রাজভবন পর্যন্ত যাত্রা করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। এরপরই, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সেই বিক্ষোভ জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। এমনকি, জলকামানও ব্যবহার করা হয়। পটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিং-এর দাবি, তাঁরা বিক্ষোভকারীদের, রাজভবনে ৫ জনের প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারা তা মানেননি। সেই কারণেই ‘হালকা বল প্রয়োগ’ করা হয় বলেই দাবি করেছেন তিনি।

তিনি ‘হালকা বল প্রয়োগ’এর দাবি করলেও, ঘটনার যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, তা সেই দাবিকে সমর্থন করছে না। ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, এক তরুণ বিক্ষোভকারী হাতে তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা নিয়ে মাটিতে পড়ে আছেন, আর তাঁকে বেধড়ক লাঠিপেটা করছেন এডিএম (আইন শৃঙ্খলা) কেকে সিং। লাঠির বাড়িতে যন্ত্রনায় মাটিতে গড়াগড়ি খেতে দেখা যায় ওই বিক্ষোভকারীকে। তখনও তাঁর হাতে ধরা ছিল জাতীয় পতাকা। পরে পুলিশ তার হাত থেকে জাতীয় পতাকাটি কেড়ে নেয়। এরপর, ওই তরুণ চাকরিপ্রার্থীকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে ওই আমলাকে।

এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই নীতীশ-তেজস্বী সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। বিহার বিজেপির পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, “এই সরকার কি অন্ধ যে তেরঙ্গার উপর লাঠি চালাচ্ছে? এই সরকার কি বধির যে যারা কার্তুজ চালায়, তাদের হাতে কলম দিচ্ছে? কারোর কারোর জন্য এটা শখের বিষয় হতে পারে, মজার বিষয় হতে পারে, কিন্তু জনসাধারণের জন্য এটা অসহায়তা।” বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইটে বলেছেন, “নীতীশ কুমার ২০ লক্ষ চাকরি দেওয়ার কথা বলেন, আর তাঁর পুলিশ পটনায় বিক্ষোভরত শিক্ষক প্রার্থীদের অমানবিকভাবে মারধর করল। বিহার সরকার এবং তার আধিকারিকরা শুধু শিক্ষকদের মুখই রক্তাক্ত করেনি, তেরঙ্গারও অপমান করেছে। এটাই জেডিইউ-আরজেডি সরকারের আসল চেহারা।”

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পটনার জেলাশাসক। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও এই ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার গঠনের আগে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলতেন, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। কিন্তু সরকার গঠনের পর বেশ কয়েকটি দিন কেটে গেলেও, এখনও এই সম্পর্কে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।