কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট! সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ, নাম রয়েছে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও
Project Pegasus: আইন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সরকারি আমলা, বিজ্ঞানী-সহ প্রায় ৩০০টি ভেরিফায়েড ভারতীয় টেলিফোন নম্বরে আড়ি পাতছে এই 'শত্রু'।
নয়া দিল্লি: ২০১৯ সালের পর আবারও শিরোনামে উঠে এল ইজরায়েলের স্পাইওয়ার পেগাসাসের নাম। রবিবার একাধিক ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়ার’-এর রিপোর্টে উঠে এসেছে, দেশের তাবড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একাধিক দাপুটে সাংবাদিকের তথ্য নিজেদের করায়ত্ত করেছে পেগাসাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সরকারি আমলা, বিজ্ঞানী-সহ প্রায় ৩০০টি ভেরিফায়েড ভারতীয় টেলিফোন নম্বরে আড়ি পাতছে এই ‘শত্রু’। ৪০ জন সাংবাদিকও রয়েছেন তালিকায়। রয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন নম্বরও।
ইজরায়েল সংস্থা এনএসও গ্রুপের তৈরি ‘সাইবার অস্ত্র’ পেগাসাস নিয়ে রবিবার দুপুরে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মন্যম স্বামী একটি টুইট করেন। সেখানে লেখেন, ‘ওয়াশিং পোস্ট, লন্ডন গার্ডিয়ান প্রতিবেদনে লিখেছে মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য, আরএসএস নেতাদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। তালিকায় রয়েছেন সাংবাদিক ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নামও। এটি আদ্যোপান্ত গুজব।’ একই সঙ্গে তিনি লেখেন, নামের তালিকা সামনে এলে তিনি নিজেই তা প্রকাশ করবেন।
এরই মধ্যে ‘দ্য ওয়ার’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, বেশির ভাগ ফোনই ট্যাপ করা হয়েছে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই ফোনে আড়ি পাতা চলছিল। ভারত ছাড়া আরও ৯টি দেশে আড়ি পাতা হয় বলে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। স্বভাবতই সংসদে বাদল অধিবেশনের আগের দিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে অস্বস্তি বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
২০১৯ সালে ফেসবুক এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই সময় ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, দেশের সরকার ছাড়া আর কাউকে এই স্পাইওয়ার তারা বিক্রি করে না। পেগাসাস বিতর্কে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) জানিয়েছে, ‘নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে দায়বদ্ধ সরকার। সরকারের কোনও সংস্থা অবৈধ ভাবে ফোন ট্যাপ করেনি।’ মূলত, এই স্পাইওয়ার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যবহার করে থাকে। আরও পড়ুন: ‘সিক্সার সিধু’র প্রত্যাবর্তন, পঞ্জাব কংগ্রেসের ‘ক্যাপ্টেন’ জাঠ পুত্তর নভজ্যোত