Bipin Rawat Helicopter Crash: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার ভিডিয়ো করা মোবাইল ফরেন্সিক তদন্তে পাঠাচ্ছে পুলিশ
Forensic Test of mobile: পাশাপাশি ওই ফটোগ্রাফার এবং তাঁর সঙ্গীরা কেন ওই সময় গভীর জঙ্গলে গিয়েছিলেন তার নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। কারণ, যে বনের জায়গায় তাঁরা গিয়েছিলেন, সেটি সাধারণত বন্যপ্রাণীদের আনাগোনার কারণে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
কুন্নুর(তামিলনাড়ু): প্রয়াত প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ৮ ডিসেম্বর দুর্ঘটনার মুহূর্তের ভিডিয়ো ধরা পড়েছিল, কাছেই থাকা এক ব্যক্তির মোবাইলে। সেই ভিডিয়োটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য তাঁর মোবাইল ফোনটি জমা নেওয়া হয়েছে। মোবাইলটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
মোবাইলটির মালিক কোয়েম্বাটোরের বাসিন্দা জো। পেশায় ওয়েডিং ফটোগ্রাফার। ৮ ডিসেম্বর জো তাঁর বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে নীলগিরির পাহাড়ের কাট্টেরি এলাকায় গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, কিছুটা কৌতূহলবশতই তিনি তাঁর মোবাইল ফোনে দুর্ঘটনার কবলে পড়া হেলিকপ্টারটির ভিডিয়ো রেকর্ড করেন, হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ার কয়েক মুহূর্ত আগে পর্যন্ত রয়েছে ভিডিয়োটি। তারপর কুয়াশার মধ্যে ঢেকে যায় হেলিকপ্টারটি। ভিডিয়োটি সেই সময় থেকেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের অংশ হিসেবে জেলা পুলিশ জোয়ের মোবাইল ফোনটি জমা নিয়েছে এবং সেটিকে পরীক্ষার জন্য কোয়েম্বাটোরের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি ওই ফটোগ্রাফার এবং তাঁর সঙ্গীরা কেন ওই সময় গভীর জঙ্গলে গিয়েছিলেন তার নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। কারণ, যে বনের জায়গায় তাঁরা গিয়েছিলেন, সেটি সাধারণত বন্যপ্রাণীদের আনাগোনার কারণে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। পুলিশের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি চেন্নাইয়ের আবহাওয়া দফতর থেকে দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকার তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া কেমন ছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছে পুলিশ। সম্ভব্য সবরকমভাবে তথ্য একত্রিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
তামিলনাড়ু(Tamil Nadu)-র নীলগিরি পাবর্ত্য অঞ্চলের ওপরই ৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ ভেঙে পড়ে সেনাবাহিনীর এম-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টার। ওই হেলিকপ্টারে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত, তাঁর দেহরক্ষী ও সেনাবাহিনীর কয়েকজন শীর্ষ নেতা। মোট ১৪ জন যাত্রী ছিলেন ওই কপ্টারে। তামিলনাড়ুর সুলুর বেস ক্যাম্প থেকে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিস কলেজে যাচ্ছিল। গন্তব্য থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ওই হেলিকপ্টারটি।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে আগেই উদ্ধার হয়েছে ব্ল্যাক বক্স। দুর্ঘটনার তদন্তে ব্ল্যাক বক্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই ব্ল্যাক বক্সেই ককপিটের রেকর্ডিং থাকায়, কপ্টারের ভিতরে পাইলট ও যাত্রীদের যাবতীয় কথাবার্তাও রেকর্ড থাকায়, দুর্ঘটনার আসল কারণ জানতে সুবিধা হয়।
আরও পড়ুন : Gen Bipin Rawat last message: ‘আমাদের সেনা, আমাদের গর্ব’, রাওয়াতের শেষ ভিডিয়ো বার্তা