নয়াদিল্লি: ২০১৪ সাল থেকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাগ্মিতায় মুগ্ধ বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। বিশ্বের যে প্রান্তেই যান না কেন, তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। বিদেশের সংসদেও বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ পান। ভিনদেশের সংসদে বক্তব্য রাখার নিরিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবার গায়ানার সংসদে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার গায়ানার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে তিনি বক্তব্য রাখবেন।
বিদেশের সংসদে এই নিয়ে ১৪ বার বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারতবাসীর প্রতিনিধি হিসেবে বিদেশের সংসদে তিনি বক্তব্য রাখেন। বিদেশের সংসদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্য রাখার নিরিখে নজির তৈরি করেছেন মোদী। সবচেয়ে বেশিবার বিদেশের সংসদে তিনি বক্তব্য রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর পূর্বসূরি মনমোহন সিং বিদেশের সংসদে ৭ বার বক্তব্য রেখেছিলেন। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিদেশের সংসদে চারবার বক্তব্য রেখেছিলেন। আর দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সেখানে তিনবার বিদেশের সংসদে ভারতের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করেন। রাজীব গান্ধী এবং অটলবিহারী বাজপেয়ি ২ বার করে এমন বক্তব্য রেখেছিলেন। আর মোরারজি দেশাই এবং পিভি নরসিং রাও একবার করে বিদেশের সংসদে বক্তব্য রেখেছেন।
২০১৪ সালে প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদী। তারপর ২০১৯ সালে ফের প্রধানমন্ত্রী হন। চলতি বছরের ৯ জুন তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। এই দশ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংসদে মোদী বক্তব্য রেখেছেন। আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়ার একাধিক দেশের সংসদে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। সবমিলিয়ে গায়ানার সংসদকে ধরে ১৪বার বিদেশের সংসদে বক্তব্য রেখেছেন মোদী। কূটনীতিকরা বলছেন, বিশ্বমঞ্চে ভারতের গুরুত্ব যে বাড়ছে, এটাই তার প্রমাণ।
মার্কিন কংগ্রেসে ২ বার বক্তব্য রেখেছেন মোদী। ২০১৬ এবং ২০২৩ সালে। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ফিজির সংসদে তিনি বক্তব্য রাখেন। ব্রিটেনের সংসদে মোদী বক্তব্য রাখেন ২০১৫ সালে। আফ্রিকার দেশগুলির মধ্যে মরিশাসে ২০১৫ সালে এবং ২০১৮ সালে উগান্ডার সংসদে বক্তব্য রাখেন মোদী।
এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ২০১৪ সালে নেপাল ও ভুটানের সংসদে বক্তব্য রাখেন মোদী। শ্রীলঙ্কা, মঙ্গোলিয়া এবং আফগানিস্তানের সংসদে বক্তব্য রাখেন ২০১৫ সালে। আর মলদ্বীপের সংসদে ২০১৯ সালে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।