PM Narendra Modi: রাজ্যসভার ৭২ সাংসদকে বিদায় জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বললেন, ‘আসি বলো…’
PM Narendra Modi Bids Farewell to 72 RS Members: অবসর গ্রহণকারী সাংসদদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের রাজ্যসভার সদস্যদের অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। কখনও কখনও শিক্ষাগত যোগ্যতার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয় অভিজ্ঞতা"।
নয়া দিল্লি: বাজেট অধিবেশনের মাঝেই রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে অবসর নিলেন ৭২ জন সদস্য। বৃহস্পতিবার সংসদে তাঁদের বিদায়ী সম্ভাষণ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, “বাঙালিরা যেমন বলে আমি আসছি, ইংরেজিতে বাই বাই বললেও আসলে আমরা বলতে চাই কাম এগেইন। এই সংসদে আবার ফিরে আসুন এটাই চাইব।” তাঁর কথায়, “অভিজ্ঞতার আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। যেকোনও সমস্যার সহজ সমাধান দেওয়ার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতাই কাজ করে। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নেতৃত্বেই ভুলভ্রান্তি যথাসম্ভব এড়ানো যায়। অভিজ্ঞ সহকর্মীরা রাজ্যসভা থেকে চলে যাওয়ায়, শুধু সংসদই নয়, গোটা দেশই অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে।”
রাজ্যসভা থেকে সাংসদদের অবসর গ্রহণ নিয়ে আগেই অনুষ্ঠানসূচি পরিকল্পনা করা ছিল। রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাষণের পর সকল সাংসদদের সঙ্গে ছবি তোলা হয়। রাতে সাংসদদের জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজনও করা হয়েছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর বাড়িতে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সাংসদদের স্মারক দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ১৯ জন সাংসদ আগেই অবসর নিয়েছিলেন, কিন্তু সেই সময় স্মারক গ্রহণ করতে পারেননি।
PM @narendramodi is addressing the Rajya Sabha. https://t.co/ZXLLB2A5Vx
— PMO India (@PMOIndia) March 31, 2022
উল্লেখ্য, এই নৈশভোজেই সাংসদরা নিজেদের প্রতিভাও উপস্থাপন করবেন। একদিকে ডঃ শান্তনু সেন যেমন গিটার বাজাবেন, তেমনই দোলা সেন রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইবেন। তিরুচি শিবা গাইবেন তামিল সঙ্গীত। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও বন্দনা চাভান গাইবেন হিন্দি গান।
অবসর গ্রহণকারী সাংসদদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রাজ্যসভার সদস্যদের অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। কখনও কখনও শিক্ষাগত যোগ্যতার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয় অভিজ্ঞতা”। তাদের সংসদে ফেরত আসার আহ্বানও জানান তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যসভার সদস্য থাকাকালীন তারা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তাও যেন দেশের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে দেন, এই আর্জিও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘ সময় সংসদে কাটাই। এই সংসদ ভবন আমাদের জীবনে বিশেষ অবদান রেখেছে, যতটা না আমরা সংসদে অবদান রেখেছি। সংসদে কাজ করার সময়ে আমরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা দেশের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।”