PM Modi: ট্রাম্পের সঙ্গে এত ভাল সম্পর্কের রসায়ন কী? ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতি নিয়েও মুখ খুললেন মোদী
PM Modi: ২০১৯ সালে মোদীর আমেরিকা সফরে হাউস্টনে 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ট্রাম্প ও মোদী বক্তব্য রেখেছিলেন। সেদিনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "স্টেডিয়াম পুরো ভর্তি ছিল। বিশাল সংখ্যক প্রবাসী ভারতীয় সেদিন উপস্থিত হয়েছিলেন। ট্রাম্প ও আমি বক্তব্য রেখেছিলাম। আমি যখন স্টেজে বক্তব্য রাখছিলাম, দর্শকাসনে বসে শুনছিলেন ট্রাম্প।"

নয়াদিল্লি: তাঁরা দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। পরস্পরকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেন। তাঁদের ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। রবিবার মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্ট শোতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে হাউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানের কথাও তুলে ধরলেন তিনি।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন ট্রাম্প। তারপরই তিনি ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতি নিয়েছেন। এর জন্য একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা নিয়ে ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের পাশে দাঁড়ালেন মোদী। তিনি বলেন, “ট্রাম্প ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতিতে বিশ্বাস করেন, যেমন আমি ‘ভারত প্রথম’ নীতিতে বিশ্বাস করি।” একই ধরনের ভাবনাচিন্তার জন্য তাঁদের মধ্যে এত ভাল সম্পর্ক বলে জানান মোদী।
২০২৪ সালে আমেরিকার সাধারণ নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্পের উপর হামলা হয়েছিল। গুলি চলেছিল। ট্রাম্পের কানের পাতা ছিঁড়ে রক্ত বেরোয়। সেই অবস্থাতেই ট্রাম্প যেভাবে হাত উঁচিয়ে রেখেছিলেন, তা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন বলে পডকাস্ট শোতে জানান মোদী।
এই খবরটিও পড়ুন
২০১৯ সালে মোদীর আমেরিকা সফরে হাউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ট্রাম্প ও মোদী বক্তব্য রেখেছিলেন। সেদিনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্টেডিয়াম পুরো ভর্তি ছিল। খেলাধুলোর ক্ষেত্রে এরকম লোকভর্তি স্টেডিয়াম সাধারণ ব্যাপার হলেও রাজনৈতিক সভার ক্ষেত্রে তা নয়। বিশাল সংখ্যক প্রবাসী ভারতীয় সেদিন উপস্থিত হয়েছিলেন। ট্রাম্প ও আমি বক্তব্য রেখেছিলাম। আমি যখন স্টেজে বক্তব্য রাখছিলাম, দর্শকাসনে বসে শুনছিলেন ট্রাম্প।” নিজের বক্তব্য শেষে সেদিন ট্রাম্পের কাছে গিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানান মোদী। তারপর জনতাকে অভিবাদন জানাতে স্টেডিয়ামে এক পাক ঘোরার জন্য ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন। সেদিনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক মুহূর্ত না ভেবে তিনি তাতে সম্মত হন। এবং আমার সঙ্গে হাঁটা শুরু করেন। এটা আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মনে হয়, এই ব্যক্তির উৎসাহ রয়েছে। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন।”





