Polygamy: বহুবিবাহ, নিকাহ হালাল সংক্রান্ত মামলার শুনানি, ফের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গড়বে সুপ্রিম কোর্ট
Nikah Halala: সুপ্রিয় কোর্টে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার শুনানির জন্য গত বছরই পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই বেঞ্চের ২ জন বিচারপতি অবসর গ্রহণ করেছেন।
নয়াদিল্লি: মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত বহুবিবাহ (পলিগ্যামি) এবং নিকাহ হালাল প্রথখার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই দুই প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির জন্য পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করবে দেশের শীর্ষ আদালত। অশ্বিনী উপাধ্যায় নামের এক আইনজীবী পলিগ্যামি ও নিকাহ হালাল প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সুপ্রিয় কোর্টে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার শুনানির জন্য গত বছরই পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই বেঞ্চের ২ জন বিচারপতি অবসর গ্রহণ করেছেন। তাই সেই শূন্যস্থান পূরণ না হওয়া অবধি আটকে থাকছিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সে জন্যই নতুন করে বেঞ্চ গঠন করার কথা জানালো দেশের শীর্ষ আদালত।
দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহ আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার বিষয়ে নজর দেন। সেই জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই সংক্রান্ত দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলার শুনানির জন্য নতুন করে বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি উল্লেখ করেন তাঁরা। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, “পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় পেন্ডিং রয়েছে। শীঘ্রই বেঞ্চ গঠন করে বিষয়টির শুনানি শুরু করতে হবে।”
ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (এনএইচআরসি), ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন (এনসিউব্লিউ) এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনোরিটিস (এনসিএম) মতো সংস্থার দায়ের করা বিভিন্ন জনস্বার্থ মামলার শুনানির জন্য গত বছর ৩০ অগস্ট পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠিত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া। এই বেঞ্চই পলিগ্যামি এবং নিকাহ হালাল সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার শুনানির দায়িত্ব ছিল। কিন্তু বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা অবসর নেওয়ায় খালি ছিল ওই বেঞ্চ। সে জন্যই ফের বেঞ্চ গঠনের কথা জানালেন প্রধান বিচারপতি।
মুসলিম পুরুষ চার জনকে বিয়ে করতে পারেন। এই রীতিই বহুবিবাহ। কোনও মুসলিম মহিলা বিচ্ছেদের পর তাঁর স্বামীকে ফের বিয়ে করতে চাইলে, তাঁকে ফের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে তাঁর থেকে ডিভোর্স নিতে হবে। এই প্রথার নাম নিকাহ হালাল। এই দুই প্রথাকে অসংবিধানিক ঘোষণার দাবিতেই মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী উপাধ্যায়।